ডায়েটে এমন খাবার গ্রহণ করা গুরুত্বপূর্ণ যেগুলির গ্লাইসেমিক সূচক কম থাকে এবং যা সহজেই চিনি নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। ডায়াবেটিস রোগীদের দিনের বেলায় তাদের খাবারের যত্ন নেওয়া দরকার। সুগার রোগীদের দুপুরের খাবারে এমন খাবার খাওয়া উচিত যা রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ করে এবং ওজনও কমায়। আসুন জেনে নিই রক্তে শর্করার রোগীদের দুপুরের খাবারে কোন খাবার খাওয়া উচিত যা তাদের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী এবং সুগার নিয়ন্ত্রণেও রাখে।
প্রোটিন ডায়েট খান:
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ডায়াবেটিস অ্যান্ড ডাইজেস্টিভ অ্যান্ড কিডনি ডিজিজেসের (এনআইডিডিকে) পরামর্শ অনুযায়ী ডায়াবেটিস রোগীদের দুপুরের খাবারে প্রোটিন খাওয়া উচিত। প্রোটিনযুক্ত খাবারে মুরগি, টুনা, চিংড়ি, মটরশুটি বা টফু খাওয়া ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে এবং শরীরকে সুস্থ রাখে। সাধারণভাবে প্রোটিন গ্রহণ চিনিযুক্ত খাবার খাওয়ার মতো দ্রুত রক্তে শর্করাকে বাড়ায় না। আমেরিকান ডায়াবেটিস অ্যাসোসিয়েশন ডায়াবেটিসের জন্য উপযোগী নন-স্টার্চি শাকসবজি হিসাবে কলার্ড গ্রিনস, ব্রকলি, ফুলকপি, জুচিনি এবং সবুজ মটরশুটি তালিকাভুক্ত করে।
গোটা শস্য এবং ডাল খাওয়া:
ডায়াবেটিস রোগীদের দুপুরের খাবারে আস্ত শস্য এবং ডাল খাওয়া উচিত। পটাশিয়াম ও ফাইবার সমৃদ্ধ এই খাবারগুলো শরীরকে সুস্থ রাখে এবং শরীরে পুষ্টির ঘাটতিও পূরণ করে। আস্ত শস্য খাওয়া সুগার রোগীদের জন্য উপকারী।
সবুজ শাকসবজি খাওয়া:
দুপুরের খাবারে চিনি নিয়ন্ত্রণে সবুজ শাক-সবজি খাওয়া খুবই উপকারী। ডায়াবেটিস রোগীদের খাদ্য তালিকায় মেথি, বাথুয়া, পালং শাক, বোতল করলা, লাউফা এবং করলা অন্তর্ভুক্ত করুন। এই সবজি চিনি নিয়ন্ত্রণ করবে এবং শরীর সুস্থ রাখবে।
দুপুরের প্লেটে দই খান:
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য দই খাওয়া খুবই কার্যকরী প্রমাণিত হয়। পুষ্টিগুণে ভরপুর দইয়ের গ্লাইসেমিক সূচক কম থাকে, যা রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে কার্যকর বলে প্রমাণিত হয়। ক্যালসিয়াম এবং প্রোটিনের মতো পুষ্টিতে ভরপুর দই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে এবং রক্তে শর্করাকে নিয়ন্ত্রণ করে।
স্যুপ খাওয়া:
ডায়াবেটিস রোগীরা দুপুরের খাবারেও স্যুপ খেতে পারেন। সবুজ শাক সবজির স্যুপ শুধু শরীর সুস্থ রাখে না ক্ষুধাও মেটায়। এটি পান করলে ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকে।
No comments:
Post a Comment