রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণের জন্য ব্যবহৃত খাবার এবং পানীয়গুলির গ্লাইসেমিক সূচক খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ডায়াবেটিস রোগীদের সুগার নিয়ন্ত্রণে কম গ্লাইসেমিক সূচকযুক্ত খাবার খাওয়া উচিত। মরিঙ্গা এবং এর পাতা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে অত্যন্ত কার্যকরী প্রমাণিত হয়। মোরিঙ্গা সাধারণত ড্রামস্টিক নামে পরিচিত। এগুলি প্রায়ই দক্ষিণ ভারতীয় তরকারিতে ব্যবহৃত হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে ডায়াবেটিস রোগীদের মরিঙ্গা ও এর পাতা খাওয়া উচিত, সুগার নিয়ন্ত্রণ থাকবে।
রক্তে শর্করার মাত্রায় মরিঙ্গার প্রভাব:
ঔষধি গুণে সমৃদ্ধ মরিঙ্গা রোগের চিকিৎসায় শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে খাওয়া হচ্ছে। মরিঙ্গায় অ্যান্টিভাইরাল, অ্যান্টিডিপ্রেসেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা চিনি নিয়ন্ত্রণে কার্যকর প্রমাণিত হয়। এর কান্ড, পাতা, বাকল, ফুল, ফল এবং গাছের অনেক অংশ বিভিন্নভাবে ব্যবহার করা যায়। মরিঙ্গা অপরিহার্য খনিজ সমৃদ্ধ।
এটি ক্যালসিয়ামের একটি অ-দুগ্ধজাত উৎস যা পটাসিয়াম, জিঙ্ক, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন, তামা, ফসফরাস এবং জিঙ্কের মতো পুষ্টি ধারণ করে। ডায়েটিশিয়ানদের মতে, মোরিঙ্গা পাতায় রয়েছে কোয়ারসেটিন যা একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। এতে উপস্থিত আরেকটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হল ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড, যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। মরিঙ্গায় পাওয়া ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড শরীরে চিনিকে ভালোভাবে প্রক্রিয়া করতে সাহায্য করতে পারে এবং ইনসুলিনকেও প্রভাবিত করতে পারে।
কিভাবে আপনার খাদ্যতালিকায় মরিঙ্গা অন্তর্ভুক্ত করবেন: আপনি তিনটি ভিন্ন উপায়ে মরিঙ্গা পাতা এবং বীজ খেতে পারেন। আপনি ঝোল পাতা কাঁচা পাতা, গুঁড়া বা রসের আকারে খেতে পারেন। কিছু মোরিঙ্গা পাতা গরম জলে ফুটিয়ে নিতে পারেন। স্বাদের জন্য এতে লেবু ও মধুও ব্যবহার করা যেতে পারে। এর চা বানিয়েও খেতে পারেন। মরিঙ্গা স্যুপ বা তরকারিতে যোগ করেও খাওয়া যেতে পারে।
No comments:
Post a Comment