অসাবধানতার কারণে আরও অনেক রোগ নক করে। চিকিৎসকরা সব সময় ডায়াবেটিস রোগীদের মিষ্টি জিনিস এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেন। এর সঙ্গে প্রতিদিন ব্যায়াম ও যোগব্যায়াম করতেও বলা হয়। নিয়মিত ওষুধ সেবন ও পরিহার করে এ রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।
আপনিও যদি ডায়াবেটিক রোগী হন এবং সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান তাহলে লাজবন্তী ব্যবহার করতে পারেন। বহু গবেষণায় এটা উঠে এসেছে যে লাজবন্তী ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য আশীর্বাদের চেয়ে কম নয়। এর পাতা ও শিকড়ের গুঁড়ো খেলে চিনি নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।
লাজবন্তী কি: লাজবন্তীকে আয়ুর্বেদে ওষুধ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এর বড় বৈশিষ্ট্য হল এর পাতা স্পর্শ করলে এটি সঙ্কুচিত হয়ে যায় এবং যখন হাত সরিয়ে নেওয়া হয় তখন এটি পূর্বের অবস্থায় চলে আসে। লাজবন্তীর ফুল গোলাপি বর্ণের।
এতে অনেক ঔষধি গুণ পাওয়া যায় যা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী বলে প্রমাণিত হয়। বৈদ্যরা সর্বদা লাজবন্তীর পাতা এবং শিকড় অনেক ধরণের রোগের ওষুধ হিসাবে ব্যবহার করেন। এছাড়াও লাজবন্তীর শিকড় খেলে চিনি নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
লাজবন্তীর পাতা ও শিকড় ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য একই ওষুধ। লাজবন্তীর শিকড়ের গুঁড়ো খেলে চিনি নিয়ন্ত্রণে থাকে। এ জন্য ডায়াবেটিস রোগীরা লাজবন্তীর শিকড়ের গুঁড়ো খেতে পারেন।
কিভাবে গ্রাস করতে হয়: আজকাল বাজারে লাজবন্তীর শিকড়ের গুঁড়ো সহজেই পাওয়া যায়। এছাড়াও আপনি লাজবন্তীর শিকড় শুকিয়ে এবং পিষে পাউডার প্রস্তুত করতে পারেন। সকালে খালি পেটে লাজবন্তীর শিকড়ের গুঁড়ো দুধ বা সাধারণ জলের সঙ্গে খেতে পারেন। এর ব্যবহারে চিনি নিয়ন্ত্রণে থাকে। তবে খাওয়ার আগে একবার চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
No comments:
Post a Comment