এই মহাকাশযানটি ২৪ হাজার কিলোমিটার বেগে গ্রহাণুর দিকে এগিয়ে গিয়ে সংঘর্ষ হওয়ায়।
দু দিন আগে অর্থাৎ ২৭শে সেপ্টেম্বর নাসা এক বড়োসড়ো সাফল্য অর্জন করে, পৃথিবীকে বাঁচায়। নাহলে আজ হয়তো, আমেরিকা নিঃশেষ হতে পারতো বা সুনামি আসতো বা আরও কোনও ভয়ঙ্কর দুর্যোগ নেমে আসতো।
পৃথিবীকে বাঁচাতে, আমেরিকান মহাকাশ সংস্থা নাসা একটি গ্রহাণুর দিক পরিবর্তন করার চেষ্টা করে। এই গ্রহাণুটি পৃথিবীর দিকে ২২,৫০০ কিলোমিটার বেগে পৃথিবীর দিকে আসছিল।
তাদের এই প্রচেষ্টা সফল হয়েছে বলে দাবি করেছে মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসা। নাসা জানায় তাদের এই মিশনের অধীনে একটি মহাকাশযান এই গ্রহাণুর সাথে সংঘর্ষ করানো হয়।
নাসার এই মিশনের নাম ডার্ট, অর্থাৎ ডাবল অ্যাস্টেরয়েড রিডাইরেকশন টেস্ট। এই মিশনটি ২৭শে সেপ্টেম্বর ভোর ৫:৪৫ এ পরিচালিত হয়েছিল। এই মহাকাশযানটি ২৪ হাজার কিলোমিটার বেগে গ্রহাণুর দিকে এগিয়ে গিয়ে সংঘর্ষ হওয়ায়।
২০২১ সালের নভেম্বরে হওয়া নাসার ডার্ট মিশনের উদ্দেশ্য ছিল মহাকাশ থেকে পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসা গ্রহাণুটিকে থামানো। এই পুরো প্রক্রিয়াটিকে প্ল্যানেটারি ডিফেন্স হিসাবে বর্ণনা করা আছে।
নাসা জানিয়েছে, মহাকাশে ডিডাইমোস নামে একটি গ্রহাণু রয়েছে। এই গ্রহাণুর একটি উপগ্রহ রয়েছে, যার নাম ডিমারফাস। এই উপগ্রহটি পৃথিবীর দিকে এগিয়ে আসছিলো। এই স্টেরয়েডের আকার একটি ফুটবল স্টেডিয়ামের সমান বলে জানা গেছে।
বিজ্ঞানীদের মতে, মহাকাশে পৃথিবীর চারপাশে প্রায় আট হাজার নিয়ার আর্থ অবজেক্ট (এনইও) রয়েছে। এদেরকে দৈত্যাকার পাথর বলা যেতে পারে। এর মধ্যে কয়েকটির ব্যাস ৪৬০ ফুটেরও বেশি।
বিজ্ঞানীদের মতে, লক্ষ লক্ষ বছর আগে একটি বিশাল গ্রহাণু পৃথিবীর সাথে ধাক্কা খাওয়ায়, ডাইনোসররা শেষ হয়ে যায়। মহাকাশে উপস্থিত গ্রহাণুগুলি যেন আর পৃথিবীতে আঘাত না করে, তাই এই প্রচেষ্টা করা হয়েছে।এই মিশনের সাফল্যের ফলে ভবিষ্যতে এমন ঘটনা আটকানো যাবে বলে দাবি করেছেন তাঁরা।
এই সংঘর্ষের সময় মহাকাশ যানটির রেডিও সংকেত বন্ধ থাকায় এটি এখনও নিশ্চিত করা যায়নি যে গ্রহাণুটি কোন দিকে গেছে। তার সঠিক তথ্য কিছু সময় পরে জানা যাবে।
No comments:
Post a Comment