ডায়াবেটিস রোগীদের মাশরুমের উপকারিতা - Breaking Bangla |breakingbangla.com | Only breaking | Breaking Bengali News Portal From Kolkata |

Breaking

Post Top Ad

Sunday, 14 August 2022

ডায়াবেটিস রোগীদের মাশরুমের উপকারিতা



ডায়াবেটিস বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে বড় এবং সবচেয়ে সাধারণ স্বাস্থ্য উদ্বেগগুলির মধ্যে একটি। আমাদের খাদ্য এবং জীবনধারার প্রতি লক্ষ্য রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে কারণ এগুলি উভয়ই ডায়াবেটিস প্রতিরোধ ও পরিচালনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ডায়াবেটিসের জন্য ডায়েট সম্পর্কে কথা বলার সময় অনেকেই ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ভাল কিছু খাবার সম্পর্কে জানেন না।

উচ্চ পুষ্টির মান:
আপনার তথ্যের জন্য আমরা আপনাকে বলি যে মাশরুম তাদের সমৃদ্ধ পুষ্টির প্রোফাইলের কারণে খুব স্বাস্থ্যকর। মাশরুমে ৯০% জল থাকে যা ওজন হ্রাস এবং ক্যালোরি নিয়ন্ত্রণের জন্য দুর্দান্ত। তা ছাড়া মাশরুম কম চর্বিযুক্ত উচ্চ প্রোটিন এবং পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার।

কম গ্লাইসেমিক সূচক:
মাশরুমের জিআই কম থাকে যার মানে তারা রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ায়। ডায়াবেটিসের জন্য খাদ্য পরিকল্পনা করার সময় কম জিআই খাবার রাখা হয় কারণ কার্বোহাইড্রেট রক্তে শর্করার জন্য খারাপ। মাশরুম খেলে অনেকদিন পেট ভরে থাকবে।

মনে রাখবেন আপনি যদি ডায়াবেটিক হয়ে থাকেন তবে আপনার হৃদরোগ হওয়ার ঝুঁকি বেশি। মাশরুমে ক্যালোরি কার্বোহাইড্রেট এবং চর্বি কম থাকে যা এটি হার্টের জন্য ভাল। এটি শরীরে চর্বি জমতে দেয় না যা হার্টের স্বাস্থ্যকে উন্নত করে। তাছাড়াও মাশরুমে প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে বলেও বলা হয়। মাশরুম রক্তে শর্করার আরও ভাল শোষণের অনুমতি দেয় যা ইনসুলিন প্রতিরোধের সঙ্গে যুক্ত করে। আপনার দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় মাশরুম যোগ করা অ-ডায়াবেটিস রোগীদের ডায়াবেটিসের ঝুঁকিও কমাতে পারে।

 ওজন ব্যবস্থাপনা:
ডায়াবেটিস রোগীদেরও ওজন বৃদ্ধির প্রবণতা রয়েছে কারণ স্থূলতা এবং ডায়াবেটিস সম্পর্কযুক্ত। সুতরাং ডায়াবেটিস প্রতিরোধ ও ব্যবস্থাপনার জন্য ওজন ব্যবস্থাপনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মাশরুমে ক্যালোরি এবং চর্বি কম কিন্তু প্রোটিন এবং ফাইবার বেশি। মাশরুম খাওয়া সারা দিন আপনার শক্তির মাত্রা বাড়াতে পারে।

এছাড়াও মাশরুম বিপাকীয় ব্যাধি এবং উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমায়। এগুলো অতিরিক্ত চর্বি পোড়াতে দেয়। মাশরুম খাওয়া ডায়াবেটিসের সঙ্গে আসা অনেক স্বাস্থ্য সমস্যার ঝুঁকি হ্রাস করে। অনিয়মিত রক্তে শর্করার মাত্রা সমস্যাযুক্ত হতে পারে। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্যকারী সঠিক খাবার খাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া ডায়াবেটিস নিয়মিত পর্যবেক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad