সাধারণ সর্দি, মাথাব্যথা, পেটের ব্যাধি, ফোলাভাব, হৃদরোগ এবং ম্যালেরিয়ার আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় তুলসীর নির্যাস ব্যবহৃত হয়। এটি ভেষজ চা, শুকনো গুঁড়া, তাজা পাতা বা ঘি দিয়ে মিশিয়ে নেওয়া হয়। বেসিল এসেনশিয়াল অয়েল মেডিসিনে ব্যবহার করা হয়, এটি ত্বকের যত্নেও ব্যবহার করা হয়। আপনি তুলসী ব্যবহার করে এই ঘরোয়া প্রতিকারও ব্যবহার করতে পারেন-
১) কাশি ও সর্দিতে উপকারী- তুলসী পাতা, মধু ও আদার ক্বাথ ব্রঙ্কাইটিস, হাঁপানি, ইনফ্লুয়েঞ্জা, কাশি ও সর্দিতে উপকারী। গলাব্যথা হলে তুলসী পাতার সঙ্গে সিদ্ধ জল ব্যবহার করা যেতে পারে।
2) মানসিক চাপ কমায়- তুলসি স্ট্রেস উন্নত করে এবং রক্তচাপের পাশাপাশি রক্তে শর্করার ভারসাম্যহীনতার উপর সাধারণ প্রভাব ফেলে। সামগ্রিক স্বাস্থ্য বজায় রাখতে ১২ টি পাতা দিনে দুবার খাওয়া যেতে পারে।
3) রক্ত পরিশোধন করে- তুলসি রক্ত পরিশোধনে কাজ করে যা মুখের আলসার ও সংক্রমণ প্রতিরোধে সাহায্য করে।
৪) কিডনির পাথর অপসারণে সাহায্য করে- তুলসী কিডনির ওপর শক্তিশালী প্রভাব ফেলে। আয়ুর্বেদ অনুসারে কিডনিতে পাথর হলে তুলসী পাতার রস ও মধু ছয় মাস ব্যবহার করলে তা মূত্রনালী থেকে বেরিয়ে আসে। যাইহোক আপনার প্রথমে আপনার ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত।
5) মাথাব্যথার জন্য উপকারী- তুলসী পাতার ক্বাথ মাথাব্যথার একটি ভাল প্রতিকার করে। কপালে চন্দনের পেস্টে মাটির পাতা লাগালে আরাম পাওয়া যায়।
6) অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসাবে কাজ করে তুলসীর বীজ - জল বা গরুর দুধের সাথে মিশিয়ে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসাবে কাজ করে, যা শরীরের জন্য পুষ্টিকর এবং ভাল।
No comments:
Post a Comment