উত্তরপ্রদেশের হামিরপুর জেলায় মা ভুবনেশ্বরীর একটি মন্দির রয়েছে। আশেপাশের এলাকায় এই মন্দিরটি মা ভুঁইয়া রাণী মন্দির নামে পরিচিত। কথিত আছে এই মন্দিরের মাটির জন্য মানুষ এখানে আসতে বাধ্য হয়। এই মন্দিরের মাটি খুবই শক্তিশালী। এটি শরীরে লাগালে বাত সংক্রান্ত অন্যান্য রোগ দূর হয়। বিশেষ করে আষাঢ় মাসের রবিবারে এখানে ভক্তদের ভিড় থাকে। চলুন জেনে নেওয়া যাক মন্দির সম্পর্কিত বিশেষ কিছু কথা।
হামিরপুর জেলা সদর থেকে মাত্র ১২ কিলোমিটার দূরে ঝালোখার গ্রামের মা ভুবনেশ্বরী দেবী অবস্থিত। এখানকার মানুষের বিশ্বাস, এই স্থানের মাটি সারা শরীরে লাগালে হাড় সংক্রান্ত যাবতীয় রোগ এমনকি বাতের সমস্যাও সেরে যায়।
স্থানীয় বাসিন্দা অভিষেক ত্রিপাঠির মতে, এখান থেকে এখন পর্যন্ত হাজার হাজার মানুষ সুস্থ হয়ে বাড়ী ফেরেন।
মন্দিরের পুরোহিত সন্তোষ প্রজাপতির কথায়, শত শত বছর আগে এই জায়গাটি পুকুর ও ঝোপঝাড়ে পরিপূর্ণ ছিল। এক ব্রাহ্মণ ভয়ানক গাঁটের ব্যথায় আক্রান্ত হয়ে আত্মহত্যা করতে এখানে আসেন। পড়ে স্বপ্নে তিনি আদেশ পান ওখানকার মাটি গায়ে লাগানোর ও ওখানকারই পুকরে স্নান করার। সকালে ঘুম থেকে উঠে ব্রাহ্মণ তাই করলেন। এতে তার শরীর ভালো হয়ে যায়।
বলা হয় দস্যু সুন্দরী ফুলন দেবীও মায়ের মহিমার সামনে মাথা নত করেছিলেন।
No comments:
Post a Comment