যেকোনও জিনিসের শুরু থাকলে তার শেষও নিশ্চিত। দক্ষিণ ভারতে রয়েছে আমাদের শেষ রাস্তা। এই রাস্তাটি ধনুশকোডি গ্রামে অবস্থিত।ধনুশকোডি হল তামিলনাড়ুর দক্ষিণ-পূর্ব প্রান্তে রামেশ্বরম দ্বীপের পাশে ভারত এবং শ্রীলঙ্কার মধ্যে স্থলভাগের সীমানা, ৫০ গজ এলাকায় একটি বালির টিলার উপর অবস্থিত। এই স্থানটিকে দেশের শেষ প্রান্ত বলা হয়।
এই জায়গা থেকে শ্রীলঙ্কাকে খুব স্পষ্ট দেখা যায়। চলুন জেনে নেই ধনুশকোডি সম্পর্কে রহস্যময় বিষয়।
ধনুশকোডিতে কেউ থাকে না এটি নির্জন জায়গা। আগে এখানে বাড়ি, হাসপাতাল, গির্জা, হোটেল, পোস্ট অফিস, রেলস্টেশন ইত্যাদি সবকিছুই ছিল। কিন্তু ১৯৬৪ সালে, ভয়ানক ঘূর্ণিঝড় হওয়ায় , সবকিছু ধ্বংস হয়ে যায়। প্রায় ১৮০০জন মানুষ প্রাণ হারায়। এমনকি শত শত যাত্রী ভর্তি একটি ট্রেনও সাগরে ডুবে যায়। এরপর থেকে এই স্থানটি সম্পূর্ণ নির্জন হয়ে পড়ে এবং এই স্থানটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়।
অনেকেই এই জায়গাটিকে ভুতুড়ে জায়গা বললেও, সময়ের সাথে সাথে এই স্থানটি ভ্রমণের গন্তব্য হয়ে উঠেছে। দিনের বেলায় এখানে ঘুরতে দিলেও অন্ধকার নামবার আগেই কাউকে থাকতে বা ঘোরাঘুরি করতে দেওয়া হয় না।
স্বামী বিবেকানন্দও ১৮৯৩ সালে আমেরিকার ধর্ম পার্লামেন্টে অংশগ্রহণের পর দেশে ফিরে এলে শ্রীলঙ্কা হয়ে দেশে আসেন। তারপর প্রথমে ধানুশকোডিতেই পা রাখেন তিনি।
ধনুশকোডি রামেশ্বরম থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। ভগবান শ্রী রাম হনুমানকে এই স্থানে রাম সেতু নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছিলেন। এরপর এ জায়গা থেকেই সেতু নির্মাণের কাজ শুরু করে বানর সেনারা। বলা হয় লঙ্কা থেকে সীতা মাকে মুক্ত করার পর ভগবান রাম তার ধনুক দিয়ে রাম সেতু ভেঙেছিলেন, তাই এই স্থানটিকে ধনুশকোডি বলা হয়।
No comments:
Post a Comment