রায়বেরেলি জেলার লালগঞ্জে বিখ্যাত বালেশ্বর মন্দির প্রায় ৬০০ বছরের পুরনো। বলা হয় এখানে এক সময় জঙ্গল ছিল। স্বপ্নদেশে কীভাবে শিবলিঙ্গ হওয়ার আদেশ পান এক গরুর মালিক, চলুন জেনে নেওয়া যাক
বলহেমাউ গ্রামের তিওয়ারি পরিবারের গরু ছিল। রাখাল গরু সেই জঙ্গলে চরাতে নিয়ে যেত। হঠাৎ গরুর মালিকটি দেখে যে তার গরু দুধ দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। এতে সেই মালিক সম্ভবত রাখাল গরুর দুধ চুরি করেছে ভেবে তাকে হাতে নাতে ধরতে জঙ্গলে এক ঝোপের মধ্যে লুকিয়ে বসে রইল।
গরুর মালিক ঝোপের আড়াল থেকে দেখলেন যে তার গরু একটি ঝোপের মধ্যে ঢুকেছে এবং তার থলি থেকে এমনি এমনি দুধ বের হচ্ছে। দুধের স্রোত মাটির তৈরি গর্তে চলে যাচ্ছে।
সেই রাতে গরুর মালিক খুব অস্থির হয়ে কোনও ভাবে ঘুমিয়ে পড়েন, তখনই স্বপ্নে শিবের দর্শন পান। ভগবান শিব তাকে স্বপ্নে বলেন, যেখানে গরু দেখা হয়েছিল সেখানেই তিনি বিরাজমান।সেখানে যেন একটি মন্দির প্রতিষ্ঠা করা হয়।
পরদিন সকালে গরুর মালিকের ঘুম ভাঙলে তিনি পরিবারকে স্বপ্নের কথা জানান। এরপর ওই স্থানে খনন কাজ করা হয়। খননকালে তিনি একটি শিবলিঙ্গ পান। এরপর সেখানে বালেশ্বর মহাদেবের মন্দির তৈরি হয়।
বালেশ্বর মন্দিরের উপরে গম্বুজে স্থাপিত ত্রিশূলটি সারাদিন সূর্যের গতির সাথে সাথে তার জায়গায় ঘোরে।
বাবা বলেশ্বর মহারাজের দর্শনের পরই জানুয়ারি মাসে ১ জানুয়ারি এখানে একটি বিশাল যাত্রা বের হয়। যাত্রা পথে জায়গায় জায়গায় ভান্ডারেরও আয়োজন করা হয়। মন্দির প্রাঙ্গণে ভান্ডারেরও আয়োজন করা হয়।
শ্রাবন মাসে ও মহাশিবরাত্রি উপলক্ষে মন্দির প্রাঙ্গণে বিশাল মেলা বসে এখানে বিশাল জনসমাগম হয় এবং কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়।
No comments:
Post a Comment