এখন আমাদের মধ্যে কাজের চাপ এমন ভাবে বেড়ে গেছে যার জন্য আমাদের জীবনযাত্রা পাল্টে গেছে। বাবা হওয়ার ইচ্ছে থাকলেও অনেক সময় সমস্যা বেড়ে যায়। তাই নারী হোক বা পুরুষ, প্রত্যেকের জন্য প্রজনন পরীক্ষা করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। এমন কিছু টেস্ট রয়েছে যার মাধ্যমে পুরুষরা জানতে পারবে তাদের বন্ধ্যাত্বের সমস্যা আছে কি না?
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যারা টেস্টিকুলার ড্যামেজ, ইরেক্টাইল ডিসফাংশন, তাদের অবশ্যই ফার্টিলিটি টেস্ট করানো উচিৎ। এর সাথে, যদি একজন ব্যক্তির মূত্রনালীর অস্ত্রোপচার করা হয়েছে, তবে তারও অবশ্যই এই পরীক্ষা করাতে হবে।
ডাঃ রিতু হিন্দুজা, ফার্টিলিটি কনসালটেন্ট, নোভা আইভিএফ ফার্টিলিটি, মুম্বাই, কোন পরীক্ষার কথা বলছেন আসুন জেনে নেই।
মেডিকেল হিস্ট্রি অ্যাসেসমেন্ট:
এটি জীবনযাত্রার সাথে সম্পর্কিত এমন অনেক বিষয় সম্পর্কে বলা হয়, যা সংশোধন করে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
বীর্য বিশ্লেষণ:
বীর্য বিশ্লেষণ পুরুষদের শুক্রাণুর স্বাস্থ্য এবং বিকাশের সম্ভাবনা নিশ্চিত করে। বীর্যের পরীক্ষা তিনটি প্রধান উপায়ে পরিমাপ করা হয়, যার মধ্যে রয়েছে শুক্রাণুর সংখ্যা, শুক্রাণুর আকার এবং শুক্রাণুর গতিবিধি।
জেনেটিক টেস্টিং:
যদি বীর্য বিশ্লেষণে শুক্রাণুর সংখ্যা খুব কম হয় তাহলে এর মানে হল যে জেনেটিক কারণে বন্ধ্যাত্বের সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এই পরীক্ষায় শুক্রাণুর একটি নমুনা নেওয়া হয়।
হরমোনের মাত্রা :
হরমোন আমাদের শরীরের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ রাসায়নিক পদার্থ যা শুক্রাণু উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ করে। এ ছাড়া হরমোন শারীরিক মিলনের ইচ্ছা ও ক্ষমতাকেও প্রভাবিত করে।
দু ধরনের হরমোন প্রজননের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ফলিকল স্টিমুলেটিং হরমোন (FSH) এবং টেস্টোস্টেরন। বন্ধ্যাত্ব শনাক্ত করতে চিকিৎসকরা রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে এই দুটি হরমোনের সংখ্যা বের করেন।
No comments:
Post a Comment