জাপানের প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবেকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে মঙ্গলবার টোকিওর জোজোজি মন্দিরে ভিড় জড়ো হয়েছিল। জোজোজি বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের প্রধান মন্দির। টোকিওর কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত এই পবিত্র মন্দিরটির নিজস্ব একটি ইতিহাস রয়েছে। শিনজো আবে বৌদ্ধ এবং শিটো উভয় ধর্মেই বিশ্বাস করতেন। তাই শেষ বিদায়ের জন্য তাঁর দেহ এই মন্দিরে আনা হয়। এবার জেনে নেওয়া যাক কেন বিশেষ এই মন্দির?
জোজোজি মন্দির ১৩৯৩ সালে প্রতিষ্ঠিত। এই মন্দিরটি টোকুগাওয়া পরিবারের পারিবারিক মন্দির হিসেবে পরিচিত ছিল।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ধ্বংসযজ্ঞ এবং অগ্নিকাণ্ডের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে মন্দির, জাদুঘর এবং গীর্জা ধ্বংস হয়ে যায়। এরপর মন্দিরটি টোকিও টাওয়ারের কাছে স্থানান্তরিত হয়।
জোজোজি মন্দির টোকিও টাওয়ারের কাছে ৮২৬ ০০০ বর্গ মিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত। মন্দির ছাড়াও এই কমপ্লেক্সে গ্র্যান্ড গির্জা, ৪৮টি ছোট মন্দির এবং ১৫০টি স্কুল রয়েছে। এটি জাপানি বৌদ্ধ অনুসারীদের জন্য একটি প্রধান মন্দির। এটি সকাল ৬ টা থেকে বিকেল ৫:৩০টা পর্যন্ত খোলা থাকে।
৭ই জুলাই এই জোজোজি মন্দিরে টানাবাটা উৎসব পালিত হয়। জোজোজি মন্দিরকে তারার মতো সাজাতে সন্ধ্যায় সৌন্দর্য বাড়াতে এখানে ফানুস লাগানো হয়েছে।
No comments:
Post a Comment