বৈদ্যনাথ ধাম বাবা ভোলেভাণ্ডারীর দ্বাদশ জ্যোতির্লিঙ্গের একটি। বৈদ্যনাথ ধাম ঝাড়খণ্ডের দেওঘরে অবস্থিত। এখানে আসা সকল ভক্তের মনস্কামনা পূর্ণ হয়, তাই এই শিবলিঙ্গকে 'কামনা লিঙ্গ'ও বলা হয়। পৌরাণিক অনুসারে, এই শিবলিঙ্গটি রাবণের ভক্তির প্রতীক। আসুন জেনে নিই এই বাবা ধাম কীভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল?
বৈদ্যনাথ ধাম এমনই একটি জ্যোতির্লিঙ্গ যেখানে দেবী সতীর হৃদয় পতিত হয়েছিল।তাই এই জ্যোতির্লিঙ্গকে হৃদয়পীঠও বলা হয়।
মন্দির সম্পর্কে একটি রহস্য আজও রয়ে গেছে যে ভক্তরা তাদের ইচ্ছা নিয়ে এখানে আসেন, কিন্তু শিবলিঙ্গ স্পর্শ করার সাথে সাথে তারা তাদের ইচ্ছে ভুলে যান।
বৈদ্যনাথ মন্দিরে পঞ্চশূল স্থাপন করা হয়। এই পঞ্চশূল একটি সুরক্ষা কবচ। এই মন্দিরে কখনো কোনো দুর্যোগ আসতে পারে না।
বৈদ্যনাথ মন্দিরের এই পঞ্চশূল মানবদেহের পাঁচটি অশুভ কাম, ক্রোধ, উন্মাদনা, লোভ, মোহ ধ্বংসের প্রতীক।
রাবণ ছিলেন শিবের পরম ভক্ত। শঙ্করকে খুশি করার জন্য তিনি কঠোর তপস্যা করে একে একে নিজের ৯টি মস্তক কেটে শিবলিঙ্গে অর্পণ করেন। দশম মস্তক কাটার সময় মহাদেব প্রসন্ন হয়ে তাঁর কাছে উপস্থিত হয়ে তাঁকে বর চাইতে বলেন। রাবণ শিবের কাছে লঙ্কায় যাওয়ার বর চাইলেন।
মহাদেব তার ইচ্ছা মেনে নিলেন কিন্তু এক শর্তে। তিনি বলেন, পথে কোথাও শিবলিঙ্গ রাখলে তিনি সেখানেই রয়ে যাবেন। রাবণ সেই শর্ত মেনে নেন। দেওঘরের কাছে এসে রাবণ শিবলিঙ্গটি নিচে রেখে প্রস্রাব করতে যান।
পরে রাবণ শিবলিঙ্গটি তুলতে আপ্রাণ চেষ্টা করলেও শিবলিঙ্গ আর তুলতে পারেন নি তিনি। রেগে গিয়ে শিবলিঙ্গ নিজের বুড়ো আঙুল দিয়ে চেপে আরও গভীরে ঢুকিয়ে দেন।
দেবতারা শিবলিঙ্গের পূজো করেছিলেন, তখন ভগবান শিব বর দিয়েছিলেন যে যারা এখানে পূজো করবে তাদের প্রতিটি ইচ্ছে পূরণ হবে। এই তীর্থ রাবণেশ্বর ধামের চেয়েও বেশি বিখ্যাত।
No comments:
Post a Comment