দেশে এমন অনেক ঐতিহাসিক নিদর্শন রয়েছে, যার সঙ্গে জড়িয়ে আছে অত্যন্ত আকর্ষণীয় ইতিহাস। ভারতে অনেক রাজারা এসেছেন তাঁদের মধ্যে মুঘল সম্রাটদেরও রয়েছেন।
মুঘলরা লুটপাটের মাধ্যমে ভারতে তাদের সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেছিল। তারা জোরপূর্বক তাদের ধর্মে ধর্মান্তরিত করত। এমন শাসকদের তালিকার শীর্ষে উঠে আসে আওরঙ্গজেবের নাম। মুঘলরা দেশে বিদ্যমান অনেক স্মৃতিস্তম্ভ ধ্বংস করেছিল। এর মধ্যে হিন্দু ও বৌদ্ধদের অধিকাংশ মন্দির অন্তর্ভুক্ত ছিল। তাদের স্মৃতি আজও রয়ে গেছে।
দ্বারকা মন্দির:
মুসলিম শাসকদের দ্বারা দ্বারকা মন্দির ধ্বংস করে। মহম্মদ শাহই সর্বপ্রথম এই মন্দিরের ক্ষতি করে। এরপর ১৪৭২ খ্রিস্টপূর্বাব্দে মাহমুদ বেগাদা আক্রমণ করে মন্দির লুট করে। পরে হিন্দুরা মন্দিরটি সংস্কার করেন।
বিশ্বনাথ মন্দির:
কুতুব মিনার নির্মাণকারী কুতুব দিন আইবকের সেনাবাহিনী বিশ্বনাথ মন্দিরেরও ক্ষতি করার চেষ্টা করেন। এই মন্দিরটি সংস্কার করার পর আওরঙ্গজেব এই মন্দিরটি ধ্বংস করে জ্ঞানভাপি মসজিদ নির্মাণ করেন।
সোমনাথ মন্দির:
মুঘলদের দ্বারা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ মন্দির ও ঐতিহাসিক নিদর্শনগুলির মধ্যে সোমনাথ মন্দির রয়েছে। এই মন্দিরটি প্রায় ছয়বার মুঘল শাসকদের দ্বারা ধ্বংস করে, কিন্তু যখনই এটি ভেঙে ফেলা হয়েছিল, হিন্দুরা এটিকে পুনর্নির্মাণ করেছিল।
হাম্পি:
এটি দক্ষিণ ভারতে কর্ণাটকে অবস্থিত একটি মন্দির এবং ঐতিহাসিক ঐতিহ্য, যার সাথে মুঘলদের ইতিহাসও জড়িত। মুঘলরা সময়ে সময়ে এই মন্দির এবং এর আশেপাশের ঐতিহাসিক ভবনগুলিকে ক্ষতিগ্রস্ত করার চেষ্টা করেছিল।
No comments:
Post a Comment