ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য দারুন মনোরম জায়গা এটি - Breaking Bangla |breakingbangla.com | Only breaking | Breaking Bengali News Portal From Kolkata |

Breaking

Post Top Ad

Sunday, 12 June 2022

ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য দারুন মনোরম জায়গা এটি



 মধ্যপ্রদেশকে প্রাণকেন্দ্র বলা হয় কারণ এটি দেশের মাঝখানে অবস্থিত।  যদি ভ্রমণের শৌখিন হন, তবে অবশ্যই মধ্যপ্রদেশে যেতে হবে।  এখানে অনেক ঐতিহাসিক নিদর্শন, মন্দির, মসজিদ, লেক, প্রাসাদ, অনেক জাতীয় উদ্যান এবং বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য রয়েছে।


 ভোপাল :


 এই পর্বে প্রথমে মধ্যপ্রদেশের রাজধানী ভোপালের কথা বলা যাক।  ভোপালকে বলা হয় সংস্কৃতি, ঐতিহ্য এবং আধুনিক জীবনের মিশ্রণ।  একে পুকুর ও হ্রদের শহরও বলা হয়।  এখানে কৃত্রিমভাবে সৃষ্ট হ্রদ, পাশাপাশি অনেক পুকুর রয়েছে, যা এই শহরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে।


 এছাড়াও এখানে অনেক জাঁকজমকপূর্ণ মসজিদ রয়েছে, যা পর্যটকদের আকর্ষণ করে।  এছাড়াও  ভোপালের শৌর্য স্মারক, ভারত ভবন, ভীমবেটকা, শহীদ ভবন, বিড়লা মন্দির, ভ্যান বিহার, ওয়াটার পার্ক, ডিবি মল ইত্যাদি রয়েছে।


 ওরছা:


  তিন থেকে চার দিনের ছোট ভ্রমণের পরিকল্পনা হলে যেতে হবে ওরছায়। বেতওয়া নদীর তীরে অবস্থিত এই স্থানটি দুর্গ, মন্দির এবং প্রাসাদের জন্য পরিচিত।  এখানকার রাজা রাম মন্দিরের খ্যাতি বহুদূর।  এখানে লক্ষ্মীনারায়ণ মন্দির, চতুর্ভুজ মন্দির এবং রাজ মন্দিরও পর্যটন আকর্ষণ।  এখানে বেতওয়া নদী সাতটি চ্যানেলে বিভক্ত, যা সাতধারা নামেও পরিচিত।


পাঁচমারি :


 যারা প্রকৃতিকে ভালোবাসে তাদের জন্যও পাঁচমারি খুব ভালো জায়গা।  এটি একটি হিল স্টেশন যা সাতপুরা রেঞ্জের রানী নামে পরিচিত। পাঁচমারির  সবচেয়ে জনপ্রিয় জলপ্রপাতগুলির মধ্যে, বি ফল হল একটি ৩৫  মিটার জলপ্রপাত, যা মানুষের একটি প্রধান আকর্ষণ।  এছাড়া এখানকার গুহাগুলোও দৃষ্টি আকর্ষণ করে।  


 খাজুরাহো:


 খাজুরাহোর নাম নিশ্চয়ই শুনেছেন।  এখানকার ঐতিহাসিক মন্দিরগুলো পর্যটকদের আকর্ষণ করে।  এই মন্দিরগুলো ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।  ১২ শতক পর্যন্ত প্রায় ৮৫টি মন্দির ছিল, কিন্তু এর মধ্যে কয়েকটি ১৩ শতকে ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল, তারপরে এখন  প্রায় ২২টি মন্দির অবশিষ্ট রয়েছে।  এখানে হিন্দু ও জৈন মন্দিরের স্থাপত্যে প্রেমের এক বিশেষ রূপ ফুটে উঠেছে।


 বান্ধবগড় জাতীয় উদ্যান:


 বান্ধবগড় জাতীয় উদ্যান মধ্যপ্রদেশের উমারিয়া জেলায় অবস্থিত।  প্রাচীনকালে রেওয়ার রাজা মহারাজারা এখানে শিকার করতে আসতেন।  বর্তমানে এটি জাতীয় টাইগার রিজার্ভ নামে পরিচিত।  বান্ধবগড় ৪৪৮ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত।  এই পার্কে একটি প্রধান পর্বত রয়েছে যাকে বলা হয় 'বান্ধবগড়'।  শাল ও বাঁশ গাছ এই পার্কের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে।  এই পার্কে ২২ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী এবং ২৫০ প্রজাতির অ্যাভিফানা পাওয়া যায়।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad