আমরা এখনও এখনও পর্যন্ত গ্রিন টি, লিকার টি, আদা চা এবং আরও অনেক ধরণের চা পান করেছি, কিন্তু কখনও কি হোয়াইট টি পান করা হয়েছে কি? নাহলে এই চায়ের সম্পর্কে জেনে নেব।
এত দামী এই চা এখন চীন থেকে দেশে এসেছে। আগে দেশে এই চায়ের কোনো প্রবণতা ছিল না, কিন্তু এর স্বাস্থ্য উপকারিতার কারণে এখন ধীরে ধীরে দেশেও এটি বিখ্যাত হয়ে উঠছে। আসুন এই চায়ের আরও বৈশিষ্ট্য এবং এটি তৈরির পদ্ধতি সম্পর্কে জেনে নেই।
হোয়াইট টি কি:
আসলে এই চা তৈরি হয় ক্যামেলিয়া গাছের পাতা থেকে। এটি এই গাছের নতুন পাতা ও তার চারপাশের সাদা তন্তু থেকে তৈরি হয়। এই চায়ের রং হালকা বাদামী বা সাদা রঙের হয়। এতে ট্যানিন, ফ্লোরাইড, ফ্ল্যাভোনয়েড এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এতে ক্যাফেইনের পরিমাণ খুবই কম। এই চা স্বাস্থ্যের জন্য নানাভাবে উপকারী।
উপকারীতা :
প্রদাহ কমায়:
এই চায়ে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পলিফেনল, যা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। এটি শরীরকে অক্সিডেটিভ ক্ষতি থেকে রক্ষা করে এবং প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
ডায়াবেটিস :
এই চায়ের প্রাকৃতিক গুণাগুণ রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা যেমন কম রাখে, তেমনি পেশিতেও গ্লুকোজের মাত্রা বাড়াতে দেয় না। এই কারণেই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে।
ত্বকের জন্য:
এই চায়ে রয়েছে অ্যান্টি-এজিং এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য, যা ত্বককে টানটান ও উজ্জ্বল করে।
কেন এই চা দামী?
আসলে এই চা তৈরির প্রক্রিয়া এটিকে ব্যয়বহুল করে তোলে। এর ফসল তোলার প্রক্রিয়া অন্যান্য চা থেকে আলাদা। যদিও সাদা চা একই উদ্ভিদ থেকে আসে যেখান থেকে কালো এবং সবুজ চা আসে, তবে সাদা চা চাষের প্রক্রিয়া অন্যান্য চায়ের তুলনায় এটিকে ব্যয়বহুল করে তোলে। এর যত্ন এবং চাষের প্রক্রিয়াটি সময় নেয়। কারণ এই চা উৎপাদনে শুধুমাত্র ছোট কুঁড়ি ও পাতা ব্যবহার করা হয়।
No comments:
Post a Comment