জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, পাথর পড়লে জীবনের বাধা এবং গ্রহের দোষ কেটে যায়। রক্ত প্রবাল মালা পরলে রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা আসে এবং নেতিবাচক শক্তি বিরক্ত হয় না। আসুন জেনে নিই কীভাবে এবং কখন এর মালা পড়া যাবে এবং এর উপকারিতা কী কী ?
ধারণ করার সময় :
এর মালা ধারণ করলে, ধূমপান এবং আমিষজাতীয় খাবার খাওয়া যাবে না।
এই মালা পরার আগে হনুমান, ভগবান শিব ও শ্রীরামের পূজো করা উচিৎ।
মঙ্গলবার সকালে, 'ওম ভৌমায় নমঃ' মন্ত্রটি ১০৮ বার জপ এবং হনুমানের পায়ে এই মালা রেখে প্রার্থনা করুন।
পুজোর পর গঙ্গাজল দিয়ে ধুয়ে ধূপ-দীপ দেখিয়ে পরতে হবে।
নিয়ম :
এটি তর্জনী এবং অনামিকাতে পরা উচিৎ।
রক্ত প্রবাল মালা কখনই গোমেদ, এবং নীলকান্তমণি দিয়ে পরা উচিৎ নয়। এটি বেশ ক্ষতিকারক হতে পারে।
মঙ্গল ও শনিবার কখনই আমিষ খাওয়া যাবে না।
কাদের পড়া উচিৎ :
যাদের স্মৃতিশক্তি দুর্বল, পড়াশোনায় অমনোযোগী তাদের পরা উচিৎ।
কুণ্ডলীতে বুধ গ্রহ দুর্বল ও বৃহস্পতি গ্রহের শুভ নয় এবং মঙ্গলকে শক্তিশালী করতেও রক্ত প্রবালের মালাও পরা যেতে পারে।
উপকারিতা:
এই মালা পরলে আত্মবিশ্বাস, সাহস ও শক্তি বৃদ্ধি পায়। বিবাহিত মহিলারা যদি রক্ত প্রবালের মালা পরলে তাদের স্বামীর স্বাস্থ্য ভালো থাকে।
রক্ত প্রবালের মালা পরলে কষ্ট দূর হয়। মানসিক চাপ ও দুঃখ দূর করতে প্রবাল খুবই কার্যকরী।
রক্ত প্রবাল অনেক রাশির জন্য খুবই উপকারী, যেমন মেষ, বৃশ্চিক, সিংহ, ধনু এবং মীন রাশি।
যারা দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিসে ভুগছেন তাদের পরা উচিৎ।
No comments:
Post a Comment