মন্দিরের প্রবেশদ্বারে ও বিশেষ স্থানে ঘণ্টা রাখার প্রথা প্রাচীনকাল থেকেই চলে আসছে। সেই সঙ্গে বাড়িতেও পুজোর জায়গায় গরুড় ঘণ্টাও রাখা হয়। ধর্মীয় শাস্ত্র অনুসারে মহাবিশ্ব সৃষ্টিতে শব্দ বা ধ্বনির বিশেষ অবদান রয়েছে। এটা বিশ্বাস করা হয় যে মহাবিশ্ব সৃষ্টির সময় যে ধ্বনি উৎপন্ন হয়েছিল, সেই ধ্বনি এই গরুড় ঘণ্টা থেকে নির্গত হয়।
হিন্দু ধর্মের মতবাদ অনুসারে আলোর উৎপত্তি শব্দ থেকে এবং শব্দের উৎপত্তি হয় আলোর বিন্দু থেকে। যার কারণে ঘন্টা মন্দিরে বা পূজোর ঘরে রাখা হয়। পূজোর সময় ঘণ্টা বাজানোর ফলে নেতিবাচক শক্তি এবং সমস্ত ধরণের বাস্তু দোষ দূর হয় এবং সুখ ও সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পায়। আসুন জেনে নিই গরুড় ঘণ্টা কেন এত গুরুত্বপূর্ণ? এর উপকারিতা কী?
ভগবান বিষ্ণুর প্রতিদিনের পূজোয় আমাদের উচিৎ গরুড় ঘণ্টা বাজানো। যে ব্যক্তি ভগবান বিষ্ণুর আরাধনা করে এবং হাতে গরুড় চিহ্ন সম্বলিত ঘণ্টা নিয়ে আরতি করেন, তাঁর বহু জন্মের পাপ বিনষ্ট হয়।
প্রকারভেদ :
ঘণ্টা ৪ প্রকার: প্রথম গরুড় ঘণ্টা, দ্বিতীয় দরজার ঘণ্টা, তৃতীয় হাতের ঘণ্টা এবং চতুর্থ ঘণ্টা। গরুড় ঘণ্টার কথা যদি বলি, তাহলে তা ছোট, যা এক হাতে বাজানো যায়। ডোরবেলটি দরজায় থাকে।এটি বড় এবং ছোট আকারের হয়। হাতের ঘণ্টা শক্ত পিতলের একটি গোল থালার মতো, যা অনেক বড় হয়। কমপক্ষে ৫ ফুট লম্বা এবং চওড়া। এটি বাজানোর পরে, শব্দ বহু কিলোমিটার পর্যন্ত যায়।
উপকারিতা :
কাজ না এগোলে, শনিবার বা মঙ্গলবার কোনও মন্দিরে একটি পিতলের ঘণ্টা দান করুন। এতে করে সমস্ত সমস্যা দূর হবে।
প্রতিদিন আরতির সময় ঘণ্টা বাজান। এতে ভাগ্যের বন্ধ দরজা খুলে যাবে।
প্রতিদিন স্নানের পর সকালে গরুড় ঘণ্টা বাজালে দেবী লক্ষ্মী প্রসন্ন হন এবং সেই বাড়িতে সর্বদা তাঁর কৃপা বজায় রাখেন। ঘরে কখনও অর্থের অভাব হয় না এবং আয়ের উপায় ক্রমাগত বাড়তে থাকে।
বাড়িতে প্রতিদিন গরুড় ঘণ্টা বাজানোর ফলে পরিবারের সকল সদস্যের মধ্যে সম্প্রীতি বজায় থাকে।
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে গরুড় ঘণ্টা বাজানোর ফলে ব্যক্তির পূজো অত্যন্ত ফলপ্রসূ ও সফল হয়।গরুড় ঘণ্টার ধ্বনি মনে শান্তি দেয় এবং মানসিক চাপও কমায়।
No comments:
Post a Comment