উত্তরবঙ্গে লাগাতার বৃষ্টির জেরে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। পঁয়তাল্লিশ বছর আগের স্মৃতি জাগিয়ে তুলছে জলপাইগুড়ি। ১৯৮৬ সালে তিস্তা ও করলা নদী পুরো শহর দখল করে নেয়। সেই সময়ে জলপাইগুড়িতে ৭২ ঘণ্টায় ১১২০ মিলি বৃষ্টিতে তলিয়ে যায় বহু এলাকা।
যদিও এবারও ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের অনিরাপদ এলাকায় তিস্তার সঙ্গমস্থল থেকে হলুদ সংকেত জারি করা হয়েছে। অন্যদিকে, ভারী বৃষ্টির জেরে বাগডোগরা বিমানবন্দরে বিমান পরিষেবাও বন্ধ।
গত ২৪ ঘণ্টায় কোচবিহারে ১০৪ শতাংশের বেশি বৃষ্টি হয়েছে। জলপাইগুড়িতে ৭৮ শতাংশ, দার্জিলিংয়ে ২৬ শতাংশ বেশি বৃষ্টি হয়েছে।
আজ বুধবার ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। নগরীর অনেক ওয়ার্ড জলে তলিয়ে গেছে। শহরের নিউটাউন পাড়া, মোহন্ত পাড়া, অরবিন্দ নগর, পান্ডা পাড়া, জয়ন্তী পাড়া, মহামায়া পাড়া, স্টেশন রোড সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় জল জমেছে।
পুরসভার সহ-সভাপতি সৈকত চ্যাটার্জী জলে আটকে থাকা নাগরিকদের উদ্ধার করতে সিভিল ডিফেন্সের সঙ্গে একটি স্পিড বোটে করে ওই এলাকায় যান। বন্যার্তদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তলিয়ে গেছে অনেক ঘরবাড়ি।
No comments:
Post a Comment