তার অনুরাগীদের মতোই মধুমিতা সরকারও অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন তার পরবর্তী ছবি কুলের আচার-এর মুক্তির জন্য। এই প্রথম আমরা অভিনেত্রীকে বিক্রম চ্যাটার্জির সঙ্গে জুটি বাঁধতে দেখতে পাব এবং মধুমিতা বলেছেন যে তিনি এখন অনেক বেশি ভূমিকার উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করবে যা তাকে আরও ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে সাহায্য করবে। সুদীপ দাসের পরিচালনায় ১৫ই জুলাই প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেতে চলেছে।
কুলের আচার একটি বাহ্যিক পারিবারিক নাটক যা শুধুমাত্র নারীকেন্দ্রিকই নয় বরং একটি পরিবারকে আদর্শভাবে ভাগ করে নেওয়া উচিৎ বন্ধন ও স্নেহের প্রকৃত প্রকৃতিকে সমুন্নত রাখার জন্য প্রচেষ্টা চালায়।
প্লটটি একটি অশান্ত রাইড যা একটি গল্প বলে যা একটি মহিলার তার প্রথম উপাধি রাখার ইচ্ছার চারপাশে আবর্তিত হয় এবং এই ধারণাটির চারপাশে আবর্তিত কৌতুকপূর্ণ কিন্তু মর্মান্তিক জটিলতা। মধুমিতা বড় পর্দায় ফিরে আসবে মিথির গল্প বলতে একজন তরুণী যে বিয়ের পরে তার পদবি পরিবর্তন না করার জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। বিক্রম চ্যাটার্জিকে দেখা যাবে প্রীতমের চরিত্রে অভিনয় করতে যিনি মিথির সহায়ক এবং উদার স্বামী।
মধুমিতার মতে ছবিতে তার চরিত্র বিশ্বাস করে যে তার উপাধি তার পরিবারের উত্তরাধিকার। সে তার শ্বশুরবাড়িকে সম্মান করে কিন্তু একই সঙ্গে তার আদর্শে অটল থাকার জন্য যে কোনও মাত্রায় যেতে পারে।
এই অভিনেত্রী কি বিয়ের পরেও মেয়ের নাম রাখার ধারণা সমর্থন করেন? একটি সাম্প্রতিক মিডিয়া কথোপকথনের সময় মধুমিতা বলেছিলেন যে তিনি একবার বিবাহিত ছিলেন এবং বিবাহবিচ্ছেদের আগে তিনি তার প্রথম পদবি পরিবর্তন করেছিলেন। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সে বুঝতে পেরেছে যে উপাধি পরিবর্তন করা একটি প্রয়োজনীয় জিনিস হতে পারে না এবং কুলের আচার করার পরে তিনি বুঝতে পেরেছেন যে মানুষকে জীবনে নির্দিষ্ট বিশ্বাসগুলি মেনে চলতে হবে। তিনি আরও স্পষ্ট করেছেন যে এই ফিল্মটি শুধুমাত্র উপাধি পরিবর্তনের বিষয় নিয়েই কাজ করে না বরং এটি অন্যান্য অনেক সামাজিক প্রথার বিষয়েও প্রশ্ন উত্থাপন করে।
এদিকে ইন্দ্রাণী হালদারও প্রায় পাঁচ বছর বিরতির পর এই পারিবারিক নাটক দিয়ে বড় পর্দায় ফিরছেন। তিনি মধুমিতার শাশুড়ির চরিত্রে অভিনয় করবেন এবং বর্ণনা অনুসারে তার চরিত্রটি মিথির জীবনে অত্যন্ত শক্তিশালী অবস্থান ধারণ করে। নীল মুখার্জিকে দেখা যাবে মিথির শ্বশুর চরিত্রে।
No comments:
Post a Comment