প্রাচীন কালে কথা বলা ও শিক্ষা দেওয়া হত সংস্কৃতে। এখন সেই চল অনেকেই কমে গেছে।
আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বারাণসীতে লাল বাহাদুর শাস্ত্রীতে সংস্কৃত ভাষায় ঘোষণা করা হয়। এখন পর্যন্ত হিন্দি ও ইংরেজি ভাষা শুধুমাত্র বিমানবন্দরে করোনার ঘোষণার জন্য ব্যবহার করা হতো, কিন্তু এখন সংস্কৃতও এতে যুক্ত হয়েছে। সংস্কৃতে ঘোষণা করা এটি দেশের প্রথম বিমানবন্দর।
সংস্কৃতে এই ঘোষণার পর অনেকেই এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাচ্ছেন এবং সংস্কৃতের প্রচারে এটিকে একটি ভাল পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে, ভারতে সংস্কৃত ভাষায় কথা বলার লোকের সংখ্যা খুবই কম এবং দেশের ১ শতাংশেরও কম লোক সংস্কৃত ভাষায় কথা বলে। দেশে এই মুহূর্তে কতজন লোক সংস্কৃত ভাষায় কথা বলে চলুন জেনে নেই
আদমশুমারির ভিত্তিতে তথ্য অনুযায়ী, ২০১১ সালের আদমশুমারি রিপোর্ট অনুসারে প্রায় ১৩০ কোটি জনসংখ্যার মধ্যে, মাত্র ২৪৮২১ জন লোক সংস্কৃত ভাষায় কথা বলে।
উত্তর-পূর্বে এমন অনেক রাজ্য রয়েছে, যেখানে একজনও সংস্কৃত বলতে জানেন না।
সংস্কৃতের জনপ্রিয়তা বেশী :
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মহারাষ্ট্রের পুনে, বিহারের কিশানগঞ্জ, উত্তর প্রদেশের কানপুর, রাজস্থানের ঝালাওয়ার, কর্ণাটকের বেঙ্গালুরু, উত্তর প্রদেশের সীতাপুর, মধ্যপ্রদেশের হোশাঙ্গাবাদে বেশি লোক সংস্কৃত ভাষায় কথা বলে।
No comments:
Post a Comment