সিউড়ি গিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপি নেতারা সিউরি সার্কিট হাউস থেকে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের অফিসে পদযাত্রা করে জেলা নেতাদের সাথে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন তাঁরা। এসময় পুলিশের ব্যারিকেড অপসারণ করতে গিয়ে তিনি পড়ে গিয়ে পায়ে আঘাত পান।
বীরভূম জেলার বগটুই গণহত্যায় যেখানে নয়জনকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হয়েছিল এবং একই সাথে হত্যা করা হয়েছিল।
সেখানে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ঘটনার তদন্ত করছে সিবিআই। বিজেপি ক্রমাগত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারকে আক্রমণ করছে এবং ৩৫৬ ধারা জারির দাবী জানায় ।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, চোট পাওয়ার পর শুভেন্দু অধিকারী কিছুক্ষণ গাড়িতে বসে হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা হন। সেখান থেকে সিউড়ির একটি বেসরকারি হাসপাতালে যান শুভেন্দু অধিকারী।
সেখানে তার পায়ের এক্স-রে ও ব্যান্ডেজ করা হয়। চিকিৎসা শেষে শুভেন্দু অধিকারী কর্মকর্তা জানান, পুলিশের দুটি ব্যারিকেড ভেঙে পড়ায় তিনি পড়ে যান। যদিও তিনি বলেন, পায়ে ভাঙ্গেনি, তবে ব্যথা হয়েছে। কাউকে দোষ দিতে চাননা তিনি।
শুভেন্দু অধিকারী আরও বলেন, তাঁকে এভাবে থামানো যাবে না। আগামী ২০ তারিখ বিজেপি বিধায়কদের নিয়ে দেউচা পাচামীতে যাবেন তিনি।
হাঁসখালি ধর্ষণ মামলার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছে বিজেপি। এদিন শুভেন্দু অধিকারী তীব্র নিশানা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারকে।
শুভেন্দু অধিকারী জানান, ১৪ বছরের নাবালিকা মেয়েকে ধর্ষণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে তিনি রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরের সঙ্গে কথা বলেছেন। তাকে পুরো বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার অনুরোধ করা হয়।
তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্যাতিতার জন্য যে ধরনের ভাষা ব্যবহার করেছেন, তার জন্য অবিলম্বে ক্ষমা চাওয়া উচিৎ। তিনি বলেন, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। রাজ্যে ৩৫৬ ধারা জারি করা উচিৎ।
No comments:
Post a Comment