হিন্দু ধর্মে বাস্তুশাস্ত্রের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। পূজোর সময় আমরা এমন অনেক কাজ করে থাকি, যার সম্পূর্ণ অর্থ আমরা জানি না। কিন্তু তারপরও আমরা করি।
এর মধ্যে একটি হল পূজোর সময় ঘণ্টা বাজানো। বাস্তু মতে, পূজোর ঘরে ঘণ্টা বাজানো হলে ঘরে ইতিবাচকতা আসে। এতে ঘরে সমৃদ্ধি আসে। সেই সঙ্গে যদি বাস্তু অনুসারে কাজ না করা হয়, তাহলে ঘরে নেতিবাচক শক্তি বাসা বাঁধতে শুরু করে।
বাস্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পূজোর সময় সর্বদা ঘণ্টা শুভ বলে মনে করা হয়। এমনকি মন্দিরের বাইরে ঘণ্টা রাখার প্রথাও অনেক পুরনো।
ঘণ্টা বাজানো ছাড়া আরতি করা অসম্পূর্ণ বলে বিবেচিত হয়। এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে ঘণ্টা বাজলে এক বিশেষ ধরনের শব্দ নির্গত হয়।
তা বাজতেই ঘণ্টার আওয়াজ সারা পরিবেশে অনুরণিত হয়। ভগবানের আরাধনা এবং আরতির সময় ঘণ্টা বাজলে এর ধ্বনি পরিবেশকে প্রভাবিত করে এবং মন শান্ত, শুদ্ধ ও আনন্দদায়ক হয়।
বলা হয় যে ঘণ্টা বাজানো দেবতাদের সামনে উপস্থিতি চিহ্নিত করে। কথিত আছে, পূজোর সময় ঘণ্টা বাজলে দেব-দেবীর মূর্তির মধ্যে চেতনা জাগ্রত হয়, এরপর তাদের পূজা-অর্চনা আরও ফলপ্রসূ হয়।
শুধু তাই নয়, এটি ইতিবাচক শক্তির বিস্তার ঘটায় বলে বিশ্বাস করা হয়। এবং নেতিবাচক শক্তি বের করে দেয়। ঘণ্টার শব্দ মনকে শান্ত করে।
বাস্তু বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন যে দেবতাদের খুশির জন্য ঘণ্টাও বাজানো হয়। দেবতারা যেমন ঘণ্টার ধ্বনি, শঙ্খপাতা এবং কুমির ইত্যাদি। এতে দেবতারা খুশি হন এবং ভক্তদের উপর আশীর্বাদ বর্ষণ করেন।
পূজোর ঘরে বেল, অক্ষত ও ফুল দিয়ে পূজো করতে হবে। মন্ত্রটি হল- 'ওম ভুর্ভুবাঃ স্বাঃ গরুড়ায় নমঃ'।
No comments:
Post a Comment