দুগ্ধজাত দ্রব্যের ব্যবহার আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুব ভাল। কারণ এতে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম এবং অন্যান্য অনেক পুষ্টি রয়েছে। দই এবং বাটার মিল্ক উভয়ই দুধ থেকে তৈরি পণ্য। উভয়েই প্রায় অভিন্ন পুষ্টিগুণ পাওয়া যায়।
তারপরও প্রায়ই সেই সব লোকের মনে প্রশ্ন আসে যে দই এবং বাটার মিল্কের মধ্যে কোনটি বেশি উপকারী? দই এবং বাটার মিল্ক দুটোই প্রায় একই রকমের পুষ্টিগুণে তৈরি, দই এবং বাটার মিল্কের মধ্যে পার্থক্যের পাশাপাশি তাদের উপকারিতা কী আসুন জেনে নিই।
দই এবং বাটার মিল্কের মধ্যে পার্থক্য হল এতে উপস্থিত জলের পরিমাণ আলাদা। দইয়ে জল থাকলেও দইকে যখন বাটারমিল্কে রূপান্তরিত করা হয়, তখন তাতে জল মেশালে বাটার মিল্ক হয়। কিন্তু এটাই একমাত্র পার্থক্য নয়।
বাটার মিল্ক বানানোর সময় দই থেকে দইয়ের বদলে মাখন বের করা হয়। আয়ুর্বেদ অনুসারে, যখন বাটারমিল্কের সাথে দই মিশিয়ে বাটার মিল্ক তৈরি করা হয় না, তখন তা বাটারমিল্কে কিছু বাড়তি বৈশিষ্ট্য দেয়। এতে উপস্থিত প্রোটিনগুলি শরীরের পক্ষে হজম করা আরও সহজ হয়ে যায়।
দই ও বাটার মিল্কের উপকারিতা:
পুষ্টি উপাদান- ক্যালসিয়াম জিঙ্ক ভিটামিন বি ১২ প্রোটিনের মতো পুষ্টি উপাদান বাটারমিল্কে পাওয়া যায়। এটি আপনার হাড় সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, ভিটামিন, বি১২, ভিটামিন বি৫, বি২ পটাশিয়াম এবং প্রোটিনের মতো পুষ্টি উপাদান এতে পাওয়া যায়। দইয়ে উপস্থিত পুষ্টি উপাদান উচ্চ রক্তচাপ এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
ওজনের উপর প্রভাব :
আপনি যদি আপনার ওজন কমাতে চান তবে আপনার দই খাওয়া উচিত নয়। দইয়ে বাটার মিল্কের চেয়ে বেশি ক্যালোরি থাকে। এছাড়াও এটি হজমেও ভারী।
এক্ষেত্রে বাটার মিল্ক আপনার জন্য ভালো হবে। এতে ক্যালোরিও কম এবং সহজপাচ্য। কিন্তু যারা ওজন বাড়াতে চান তারা দই খেতে পারেন।
No comments:
Post a Comment