যাদের চিনির মাত্রা বেশি তাদের পায়ের আলসার হওয়ার প্রবণতা বেশি। যদি এই অবস্থাটি সময়মতো পরিচালনা করা না হয়, তবে এটি একটি গুরুতর রূপ নিতে পারে এবং অস্ত্রোপচারের দিকে নিয়ে যেতে পারে।
ডায়াবেটিক ফুট আলসার একটি সমস্যা যা দীর্ঘদিন ধরে উচ্চ রক্তে শর্করার মাত্রার কারণে বিকাশ লাভ করে। সাধারণত বুড়ো আঙুল ও পায়ের আঙুলের নিচে এই আলসার হয়।
এমন অবস্থায় ত্বকের নিচের কোষগুলো ভেঙ্গে নিচের স্তরগুলো দৃশ্যমান হয়ে ওঠে। এই আলসার আপনার হাড়কেও প্রভাবিত করে।
ডায়াবেটিক ফুট আলসারের কারণ:
ডায়াবেটিক ফুট আলসারের প্রধান কারণ হল উচ্চ রক্তে শর্করার মাত্রা। সুগার লেভেল বেড়ে যাওয়ার কারণে অনেক সময় পায়ে এবং শরীরের অন্যান্য অংশে ছোট ছোট ক্ষত হতে থাকে।
যদি সময়মতো চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে তারা মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। কখনও কখনও অস্ত্রোপচারেরও প্রয়োজন হতে পারে।
এ ছাড়া, যদি কোনও ব্যক্তির ডায়াবেটিস থাকে, পাশাপাশি ওজন বেশি থাকে এবং ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি থাকে, তবে তার জন্য ডায়াবেটিক ফুট আলসারের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
লক্ষণগুলির মধ্যে অস্বাভাবিক ফোলাভাব, জ্বলা, লালভাব এবং পায়ে দুর্গন্ধ, জলযুক্ত পা, ত্বকের রঙ পরিবর্তন, পায়ে অসাড়তা এবং ঝাঁকুনি, হাঁটার সময় ব্যথা, ঘা ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।
অনেক সময় কোনো উপসর্গ থাকে না, শুধু ত্বকের রং পরিবর্তন হয় বা ব্যথা অনুভূত হয়, এমন পরিস্থিতিতেও অবিলম্বে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিৎ।
চিকিৎসা কী :
ডায়াবেটিক ফুট আলসার বিশেষজ্ঞরা রোগের অবস্থা অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেন। প্রাথমিক পর্যায়ে ওষুধের মাধ্যমে এর চিকিৎসা করা যায়। কিন্তু অবস্থা গুরুতর হলে অস্ত্রোপচারও করতে হতে পারে।
অবস্থাকে গুরুতর না হওয়ার জন্য, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা এবং সংক্রমণ থেকে ক্ষত রক্ষা করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
এই নিয়ম মেনে চলুন :
নিয়মিত পা পরিষ্কারের যত্ন নিন।
পায়ের নখ নিয়মিত কাটুন।
চিনি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ওয়ার্কআউট করুন এবং ভালো খাবার খান।
পায়ের তলা শুকনো রাখুন।
শরীরে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি যেন না হয়। প্রতিদিন সকাল ৯টা পর্যন্ত সূর্যের আলো নিন।
No comments:
Post a Comment