নবরাত্রি শুরু হয়েছে। ৪ এপ্রিল চৈত্র নবরাত্রির তৃতীয় দিন। এই দিনে মা দুর্গার চন্দ্রঘন্টা রূপের পূজো করা হয়। নবরাত্রি উৎসব শুধু ভারতেই নয়, পাকিস্তানেও পালিত হয়।
এখানে একটি মন্দির রয়েছে যেখানে নবরাত্রির সময় ভক্তরা উপাসনার জন্য ভিড় করেন। কী এই মন্দির এবং কী এর ইতিহাস, আসুন জেনে নেওয়া যাক।
পাকিস্তানে মাতার সিদ্ধপীঠ:
পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশে মাতার একটি সিদ্ধপীঠ রয়েছে। এই সিদ্ধপীঠকে 'হিংলাজ' মাতা বলা হয়। হিংলাজ মাতার মন্দির ৫১টি শক্তিপীঠের মধ্যে একটি। এই মন্দিরে নবরাত্রি উৎসব অত্যন্ত ভক্তি সহকারে পালিত হয়। এখানে মায়ের দর্শনের জন্য প্রচুর সংখ্যক ভক্তরা আসেন।
পৌরাণিক বিশ্বাস হল, রাওয়াধাকে হত্যা করার পর ভগবান রাম হিংলাজ মাতার দর্শনে আসেন। নবরাত্রির উৎসবে বিপুল সংখ্যক হিন্দু, সিন্ধি এবং মুসলিম ভক্তরা হিংলাজ মাতার দরবারে আসেন। হিংলাজ মাতার মন্দির ৫১টি শক্তিপীঠের মধ্যে একটি।
মাতার এই মন্দিরটি বেলুচিস্তানের হিঙ্গোল নদীর তীরে অবস্থিত। যা খেরথার রেঞ্জের মধ্যে নির্মিত। এখানে মা একটি গুহায় উপবিষ্ট। যা শিলা আকারে উপবিষ্ট।
হিংলাজ মার গল্প:
হিংলাজ মার গল্প হিংলাজ মাতার নাম কীভাবে হয়েছিল তার পিছনে একটি মজার গল্প রয়েছে। মনে করা হয় যে এখানে হিংগোল নামে একটি উপজাতি রাজত্ব করত, এর রাজা ছিল হাঙ্গোল।
হাঙ্গোল বাহাদুর ছিলেন রাজা। কিন্তু তার দরবারীরা তাকে পছন্দ করত না। রাজার উজির রাজার প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ে এবং তার উপর আরো অনেক ধরনের আসক্তি আরোপ করা হয়।
এতে উপজাতির লোকেরা বিচলিত হয়ে পরে, তারা রাজার সংস্কারের জন্য দেবীর কাছে প্রার্থনা করে। মা তার প্রার্থনা শুনলেন। এইভাবে বংশ লজ্জিত হল। সেই থেকে হিংলাজ মাতা নামে পরিচিত হয়।
মুসলমানদের বিশ্বাস এখানে ননীর মন্দিরে পৌঁছনোর পথ খুবই কঠিন, পাথুরে ও কাঁচা রাস্তা দিয়ে মায়ের মন্দিরে পৌঁছানো হয়। কিন্তু বলা হয় যে মায়ের দরবারে যায় সে খালি হাতে ফেরে না। মুসলমানদেরও মায়ের প্রতি আস্থা আছে, তারা এই ধর্মীয় ভ্রমণকে ননীর হজ ও ননীর মন্দির বলে।
No comments:
Post a Comment