রাজস্থান পুলিশ এক সাইকো কিলারকে গ্রেপ্তার করেছে, যে ৫০ টিরও বেশি মেয়েকে তাদের ফাঁদে ফেলে মেরে ফেলে। রাজধানী জয়পুরের কার্ধানি থানা এলাকায় প্রায় দুই মাস আগে আর একটি মেয়েকে খুন করে অভিযুক্ত। এরপর থেকে পুলিশ তাকে খুঁজছিল, জিজ্ঞাসাবাদে অনেক তথ্য উঠে এসেছে।
ডিসিপি পশ্চিম রিচা তোমরের নেতৃত্বে ব্যবস্থা নিয়ে পুলিশ মিন্টু ওরফে বিক্রমকে ভিওয়াদিকে গ্রেপ্তার করে। ২৩ ফেব্রুয়ারি মিন্টু তার বান্ধবীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।
জিজ্ঞাসাবাদে অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য জানিয়েছে অভিযুক্ত। পুলিশ বলছে, মিন্টু একজন যৌন আসক্ত, যে এখন পর্যন্ত অনেক মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক করেছে।
অভিযুক্ত ব্যক্তি তার পরিচয় পরিবর্তন করতেন এবং ঘটনার পর তার অবস্থানও পরিবর্তন করতেন। কখনও সে আর্মি অফিসার হয়ে মেয়েদের ফাঁদে ফেলত, আবার কখনও নিজেকে আয়কর অফিসার বলে পরিচয় দিত।
মিন্টু অনেক মেয়ের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কের কথাও স্বীকার করেছে। অভিযুক্ত কিছুদিন ধরে চণ্ডীগড় ও মধ্যপ্রদেশেও থাকতে শুরু করে। সেখানে আয়কর অফিসার হওয়ার ভান করে অনেক মেয়ের জীবন নিয়ে খেলা করেছে সে।
আলওয়ারে তার বিরুদ্ধে গণধর্ষণের একটি মামলাও নথিভুক্ত করা হয়েছে, যাতে তিনি ওয়ান্টেড।
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত মিন্টু তার বান্ধবী রোশনির সঙ্গে লিভ-ইন সম্পর্কে ছিলেন। দুজনের দেখা হয়েছিল একটি হোটেলে, তারপর থেকে দুজনেই একসঙ্গে থাকতেন।
রোশনি স্পা সেন্টারে কাজ করত এবং হোটেলেও যেত, যা মিন্টুর পছন্দ ছিল না। তিনি রোশনীকে কাজ ছেড়ে যেতে বলেছিলেন, কিন্তু তিনি রাজি না হলে তাকে হত্যা করে মিন্টু।
এমনকি রোশনীর বাবাকে জামিন দেওয়ার নামে লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেওয়ার বিষয়টিও তদন্তে উঠে এসেছে। নিহতের বাবা একটি হত্যা মামলায় সাজা ভোগ করছেন।
শুধু তাই নয়, মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়রে একটি মেয়েকে খুন করে লাশ রেললাইনে ফেলে দেওয়ার কথা স্বীকার করেছে অভিযুক্ত। খুন হওয়া মেয়েটির নাম পূজা শর্মা বলা হচ্ছে।
No comments:
Post a Comment