একদিকে যেখানে দেশে সাম্প্রদায়িক বৈষম্যের জেরে সহিংসতা ও দাঙ্গার মতো খবর বেরিয়ে আসছে, অন্যদিকে পশ্চিম বর্ধমান জেলা থেকে বেরিয়ে আসা এই খবর দেশের মানুষের মধ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি তৈরি করেছে।
এখানে এক সম্প্রদায়ের লোকেরা পূজো করার সময় অন্য সম্প্রদায়ের সম্মানের সম্পূর্ণ যত্ন নেয়। বর্ধমানের এই উদাহরণ দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির নতুন বার্তা দিয়েছে।
প্রকৃতপক্ষে, বর্ধমান শহরের হিন্দুরা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির সাথে দেবী কালী, ভগবান শিব এবং মসজিদ একসাথে পূজো করে। নগরীর ময়ূর মহল এলাকায় একই প্রাঙ্গণে দুই সম্প্রদায়ের দেব-দেবী রয়েছে। দেবী কালী সংলগ্ন শিবের মন্দির এবং কয়েক ফুট দূরে একটি মসজিদ রয়েছে।
স্থানীয় লোকজন জানায়, প্রতি বছর বাংলা চৈত্র মাসের শেষ শনিবার এখানে কালী পূজোর আয়োজন করা হয়। এটি একটি সারা রাতের পূজো, যার নাম রক্ষা কালী পূজো।এখানে একটি শিব মন্দিরও রয়েছে।
হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকেরা প্রাঙ্গণে উপস্থিত পীরবাবার সমাধিতে পূজোর ব্যবস্থা করে। মুসলিম সম্প্রদায়ের ভক্তদের পাশাপাশি হিন্দু সম্প্রদায়ের ভক্তরাও এখানে পীরবাবাকে পালন করতে আসেন।
এখানে সমাধিতে শ্রদ্ধা জানাতে আসা মুসলিম ভক্তরাও এখানে উপস্থিত হিন্দু দেবদেবীদের পূর্ণ শ্রদ্ধা জানান। স্থানীয় লোকজনের মতে, এক শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে এই প্রথা চলে আসছে। দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ এখানে পূজো দিতে আসেন।
রাম নবমী উপলক্ষে শিলিগুড়িতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও ঐক্যের নজির দেখা গেল। কিছু মুসলিম যুবক রাম নবমী মিছিলে অংশগ্রহণকারী ভক্তদের জলের বোতল বিতরণ করে এবং তাদের আলিঙ্গন করে শুভেচ্ছা জানায়।
একই সঙ্গে মিছিলের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরাও তরুণদের প্রশংসা করেন এবং জলের বোতলের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
No comments:
Post a Comment