প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আজ বিজ্ঞান ভবনে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিদের যৌথ সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন। এসময় সম্মেলনে ভাষণও দেন প্রধানমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় আইন ও বিচারমন্ত্রী কিরেন রিজিজু এবং ভারতের প্রধান বিচারপতি এনভি রমনা।
সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে বিচার বিভাগের ভূমিকা সংবিধানের অভিভাবকের হলেও আইনসভা নাগরিকদের আশা-আকাঙ্খার প্রতিনিধিত্ব করে। তিনি বিশ্বাস করেন, সংবিধানের এই দুই ধারার এই সঙ্গম, এই ভারসাম্যই দেশে একটি কার্যকর ও সময়বদ্ধ বিচার ব্যবস্থার রোডম্যাপ তৈরি করবে।
নরেন্দ্র মোদী বলেন যে দেশের সরকার ডিজিটাল ইন্ডিয়া মিশনের একটি অপরিহার্য অংশ হিসাবে বিচার ব্যবস্থায় প্রযুক্তির সম্ভাবনাকেও বিবেচনা করে। উদাহরণস্বরূপ, ই-কোর্ট প্রকল্পটি আজ মিশন মোডে বাস্তবায়িত হচ্ছে। আজ ডিজিটাল লেনদেন ছোট শহর এমনকি গ্রামে সাধারণ হয়ে উঠছে। গত বছর বিশ্বে যতগুলি ডিজিটাল লেনদেন হয়েছে, তার মধ্যে ৪০ শতাংশ ডিজিটাল লেনদেন হয়েছে ভারতে।
আজকাল অনেক দেশের আইন বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্লক চেইন, ইলেকট্রনিক ডিসকভারি, সাইবার সিকিউরিটি, রোবোটিক্স, এআই এবং বায়োএথিক্সের মতো বিষয় পড়ানো হচ্ছে। আমাদের দেশে আইনি শিক্ষাও হওয়া উচিৎ আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী, এটা আমাদের দায়িত্ব।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আদালতে স্থানীয় ভাষাকে উৎসাহিত করতে হবে। এতে বিচার ব্যবস্থার প্রতি দেশের সাধারণ নাগরিকদের আস্থা বাড়বে, তারা এর সঙ্গে যুক্ত বোধ করবে।
তিনি আরও বলেন, সাধারণ মানুষের জন্য আইনের জটিলতাও একটি গুরুতর বিষয়। ২০১৫ সালে, আমরা প্রায় ১৮০০টি এমন আইন চিহ্নিত করেছি যা অপ্রাসঙ্গিক। আবার রাজ্যগুলির মাত্র ৭৫টি আইন বাতিল করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন যে আমাদের স্বাধীনতার ১০০ বছর পূর্ণ হবে, তখন এমন একটি বিচার ব্যবস্থা তৈরি করা উচিৎ, যা আরও ভাল হবে । বিচার বিভাগীয় অবকাঠামো শক্তিশালী করতে ব্যাপক কাজ করা হচ্ছে। রাজ্যগুলিও চমৎকার কাজ করছে।
No comments:
Post a Comment