পাকিস্তানে বর্তমানে রাজনৈতিক অস্থিরতা চরমে। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর বড়সড় ধাক্কা খেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। আজ জাতীয় পরিষদে ইমরান সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবে ভোট দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। যার কারণে আজ বিধানসভায় ইমরান সরকারের শেষ দিন হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের সচিবালয় আজ সকাল ১০:৩০ টায় প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবের অধিবেশন করার আদেশ জারি করেছে।
বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট ইমরান খানের সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে ডেপুটি স্পিকারের সিদ্ধান্ত বাতিল করার পরে এই আদেশ জারি করা হয়েছে।
পাশাপাশি অনাস্থা প্রস্তাবের ওপর ভোটগ্রহণের জন্য জাতীয় পরিষদের অধিবেশন সাড়ে ১০টায় হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
অনাস্থা ভোট খারিজ হওয়ার পর গৃহীত সকল পদক্ষেপ বাতিল করে দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে জাতীয় পরিষদ পুনরুদ্ধার করা হয়। সুপ্রিম কোর্টের আদেশ অনুযায়ী জাতীয় পরিষদের স্পিকারের দায়িত্ব বর্তমান অধিবেশনে বিধানসভার সভা আহ্বান করা ও অনুষ্ঠিত করা।
রায় ঘোষণার সময় শীর্ষ আদালত জানায় যে অনাস্থা প্রস্তাবের উপর জাতীয় পরিষদের অধিবেশন শনিবার অনুষ্ঠিত হওয়া উচিৎ এবং প্রস্তাবের উপর ভোট না হওয়া পর্যন্ত তা স্থগিত করা উচিৎ নয়। সুপ্রিম কোর্ট আরও বলেছে যে যদি ইমরান খানকে অনাস্থা প্রস্তাবের ফলে অপসারণ করা হয়, তাহলে একই অধিবেশনে হাউসের নতুন নেতা নির্বাচন করা হবে।
ক্রিকেটার-রাজনীতিবিদ ইমরান খান, ৬৯বছর বয়সে , 'নয়া পাকিস্তান' তৈরি করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ২০১৮ সালে ক্ষমতায় এসেছিলেন কিন্তু নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার মৌলিক সমস্যাটি সমাধান করতে ব্যর্থ হন তিনি।
পাকিস্তানের ইতিহাসে এখন পর্যন্ত কোনও পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী তার পাঁচ বছরের মেয়াদ পূর্ণ করতে পারেননি।
No comments:
Post a Comment