শিশু থেকে বৃদ্ধ সবাই আম পছন্দ করে। আম হল স্বাদ ও পুষ্টির ভান্ডার। আম খেলে অনেক রোগ থেকেও দূরে থাকা যায়। আম খেলে শরীরে হ্যাপি হরমোন নিঃসৃত হয়। তাই আমকে সুখী ফল বলা হয় কেন?
শিশুরাও আম খুব পছন্দ করে। শিশুদের স্বাস্থ্যের দিক থেকেও আম খুবই উপকারী। যদি আপনার শিশুর বয়স ৮ মাসের বেশি হয় তবে আপনি তাকে আম খাওয়াতে পারেন।
আম শিশুদের মানসিক বিকাশ ঘটায়, হজমশক্তি বাড়ায় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। জেনে নিন শিশুদের আম খাওয়ানোর উপকারিতা।
শক্তি :
শিশুরা শক্তির অভাবে দ্রুত ক্লান্ত হয়ে পড়ে। এমতাবস্থায় আম তাদের শক্তি দেয়। শিশুদের বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় সব ভিটামিন ও খনিজ উপাদান আমে রয়েছে।
এছাড়াও আমে রয়েছে শক্তি প্রদানকারী ভিটামিন বি৬ এবং বি২। এমতাবস্থায় শিশুদের সন্ধ্যায় আম খাওয়ানো যেতে পারে।
চোখ ও হৃদয়ের জন্য উপকারী:
আম হৃৎপিণ্ড ও চোখের জন্য খুবই উপকারী একটি ফল। আমে রয়েছে ভিটামিন এ, যা দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়। আমের জৈব রাসায়নিক পদার্থও চোখকে সূর্যের ক্ষতি থেকে রক্ষা করে।
অন্যদিকে হার্ট সুস্থ রাখতে আম খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমেও পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম থাকে। যার ফলে রক্তচাপও ভালো থাকে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়:
আমে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে। শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে অবশ্যই আম দিতে হবে।
আম যেকোনও ধরনের সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করার শক্তি দেয়। আমে রয়েছে ভিটামিন ই এবং ভিটামিন বি৬, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
মস্তিষ্ক ও হাড়ের বিকাশ:
আম খেলে শিশুদের মস্তিষ্ক ও হাড়ের বিকাশ ঘটে। আমে এমন অনেক পুষ্টিকর উপাদান রয়েছে যার কারণে মস্তিষ্ক ও হাড়ের দ্রুত বিকাশ ঘটে।
আমে রয়েছে ক্যালসিয়াম এবং বিটা ক্যারোটিন, যা হাড়কে মজবুত করে। এছাড়াও আমে পাওয়া ভিটামিন এ হাড়কে মজবুত রাখে। আম খেলে শিশুদের স্মৃতিশক্তিও প্রখর হয়। আমে পাওয়া ভিটামিন বি এবং ভিটামিন ই মস্তিষ্ককে ত্বরান্বিত করে।
পরিপাকতন্ত্র শক্তিশালী:
শিশুদের আম খাওয়ালে পরিপাকতন্ত্র সুস্থ থাকে। আমে রয়েছে প্রাকৃতিক কার্বোহাইড্রেট, যার কারণে পরিপাকতন্ত্র সুস্থ থাকে।
আমে রয়েছে ফাইবার ও পটাশিয়াম, আম খেলে শিশুদের ডায়রিয়া হয় না। আমে রয়েছে এনজাইম, যা হজমের সমস্যা দূর করে।
No comments:
Post a Comment