আমাদের দেশে দত্তক নেওয়া কঠিন। কারণ শিশু দত্তক নেওয়ার প্রক্রিয়া বেশ জটিল। এখন শিশু দত্তক নেওয়ার প্রক্রিয়া সহজ করার দাবি জানায় সুপ্রিম কোর্ট।
সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রীয় সরকারকে নোটিশ জারি করে জবাব চেয়েছে।
এনজিও টেম্পল অফ হিলিং-এর তরফে সেক্রেটারি পীযূষ সাক্সেনা আদালতে আবেদনটি করেন। আবেদনে বলা হয়," সারাদেশে প্রায় তিন কোটি মানুষ নিঃসন্তান। এর মধ্যে বেশিরভাগ মানুষই সন্তান দত্তক নিতে চান। দেশে প্রায় তিন কোটি শিশু অনাথ । কিন্তু তা সত্ত্বেও প্রতি বছর মাত্র চার হাজার শিশু দত্তক নেওয়া হয়।"
সোমবার আবেদনের শুনানির সময় যুক্তি দেওয়া হয়, দেশের বিপুল সংখ্যক মানুষ শিশু দত্তক নিতে চাইলেও তাদের সঠিক তথ্যের অভাব রয়েছে।
সরকারের সবসময় এই শঙ্কা থাকে যে, নিয়ম সরলীকরণের ফলে শিশুরা যেন ভুল হাতে চলে না যায়। তবে বুঝতে হবে দেশের সব মানুষ চোর নয়, উচ্চবিত্তের মানুষ।
বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেন, যখন তিনি বম্বে হাইকোর্টে বিচারপতি ছিলেন তখন বিদেশে বসবাসকারী এক দম্পতি একটি সন্তানকে দত্তক নেন। এরপর ওই দম্পতির থেকে অন্য এক দম্পতির শিশুটিকে দত্তক নেন।
শিশুটির বাবা-মা পরিবর্তন হতে থাকে কিন্তু কেউ তাকে নাগরিকত্ব দেওয়ার চেষ্টা করেনি। তাকে সঠিকভাবে লালন-পালন করা সম্ভব হয়নি। এরপর তাকে মাদক মামলায় আটক করে ভারতে ফেরত পাঠানো হয়।
বিদেশে লালন-পালনের কারণে সে কোনও ভারতীয় ভাষাও জানতেন না। এরপর তিনি কয়েকজন ধর্মপ্রচারকের সাহায্য পান।
তাই এমন কিছু ঘটনা ঘটেছে যেখানে শিশু দত্তক প্রক্রিয়ার অপব্যবহার করা হয়েছে। কিন্তু এটা উপেক্ষা করা যায় না যে বিপুল সংখ্যক শিশু অনাথ।
তবে বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেছেন যে আবেদনের ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় সরকারকে নোটিশ জারি করা হয়েছে।
No comments:
Post a Comment