বীরভূম গণহত্যার পর পুরুলিয়া জেলার ঝালদা এলাকায় নবনির্বাচিত কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্ডু হত্যার সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।
৪৫ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। রাজ্য পুলিশের হাতে থাকা সমস্ত নথি অবিলম্বে সিবিআই-এর হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
অভিযোগকারী ও জনগণের মনে আস্থা ফিরিয়ে আনতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই হত্যা মামলায় আইসির বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ রয়েছে। তিনি একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের হয়ে কাজ করছিলেন বলে জানা গেছে। তিনি কারো নির্দেশে কাজ করতেন।
মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন আসার আগেই পুলিশ সুপার আইসিকে ক্লিনচিট দিয়েছেন বলে জানা গেছে। কয়লা পাচারের একটি মামলায় তাকে তলব করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়।
গত মাসে তপন কান্ডু খুনের ঘটনায় পুলিশ চারজনকে গ্রেফতার করেছে। এর আগে তপন কান্ডু হত্যার পরের দিনই এ মামলায় তার ভাগ্নে দীপক কান্ডুকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ একে দুই ভাইয়ের পারস্পরিক শত্রুতা বলছে।
আদালত স্বীকার করেছে তদন্তে কিছু ত্রুটি রয়েছে। প্রথমত, ঘটনার তাৎক্ষণিক ছবি তোলা হয়নি এবং গ্রেফতারকৃত কালবর সিংকে ট্রানজিটে রিমান্ডে নেওয়া হয়নি। আইসি সঞ্জীব ঘোষকে হেফাজতে নেওয়া হয়নি। তিনি এখনও কাজ করছেন।
সঞ্জীব ঘোষের ফোন এখনও বাজেয়াপ্ত করা হয়নি। এখন পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হারিয়ে যেতে পারে। তদন্তে আরও অনেক কিছু করা যেত। গতকাল জেলা পুলিশের এসপি আইসি সঞ্জীব ঘোষকে ক্লিনচিট পেয়েছেন।
পুলিশ অনেককে গ্রেফতার করেছে। পূর্ণিমা কান্ডুর গোপন জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে। আগামীকাল ভাগ্নে মিঠুন কান্দুর জবানবন্দি নেওয়া হবে। বিতর্কিত ভাইরাল অডিও ক্লিপ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ১৩ মার্চ কংগ্রেস কাউন্সিলরকে গুলি করে খুন করে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা। রাজ্য সরকারের নির্দেশে গঠিত স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম এই খুনের তদন্ত করছে।
অন্যদিকে, মৃতের পরিবার ক্রমাগত সিবিআই তদন্তের দাবি জানাচ্ছে। সিবিআই তদন্তের দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টে পিটিশনও করেছিলেন মৃতের স্ত্রী। একই মামলার শুনানি করতে গিয়ে আদালত সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।
No comments:
Post a Comment