ঝাড়খণ্ডের দেওঘরে রোপওয়ে দুর্ঘটনার পর চলছে উদ্ধারকাজ। এখনও পর্যন্ত ৪০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে এবং ৮ জনের উদ্ধার কাজ চলছে।
এদিন ৭ প্রাপ্তবয়স্কসহ এক শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে। সকাল ৬টা থেকে উদ্ধার কাজ শুরু হয়েছে। যে ট্রলিগুলিতে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে, এই ট্রলিগুলির মাধ্যমে শত শত ভক্ত ঝাড়খণ্ডের ধর্মীয় শহর দেওঘরের পাহাড়ে অবস্থিত মন্দিরগুলিতে পৌছান।
রবিবার ভক্তদের নিয়ে একসঙ্গে বেশ কয়েকটি ট্রলি পাঠানো হয়। হঠাৎ রোপওয়ে তারের লোড বেড়ে যায় এবং একটি রোলার ভেঙে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, রোলারটি ভেঙ্গে যাওয়ার সাথে সাথে তিনটি ট্রলি পাহাড়ের সাথে ধাক্কা মারে - এবং এর মধ্যে দুটি গড়িয়ে পড়ে নিচে। কিছু বুঝে উঠার আগেই ট্রলি থেকে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন বহু ভক্ত।
রোপওয়ের ট্রলি দুটি পাহাড়ের মাঝে আটকে আছে। চারিদিকে পাহাড় এবং নীচে একটি খাদ এবং মাঝখানে আটকে থাকা সেই লোকেরা। রোপওয়ের ট্রলিগুলি মাটি থেকে প্রায় ২৫০০ ফুট উচ্চতায় রয়েছে এবং এখনও অনেক লোক এই উচ্চতায় আটকা পড়েছে।
রবিবার অন্ধকারের কারণে উদ্ধার অভিযান শুরু করা যায়নি। তবে সোমবার সেনাবাহিনী, বিমান বাহিনী এবং এনডিআরএফ সেখানে আটকে পড়া লোকদের উদ্ধারে নেতৃত্ব দেয় এবং এই উদ্ধার অভিযান এখনও চলছে।
উদ্ধারকারী দলের কর্মকর্তারা শিশুদের বিস্কুট ও ফল দেওয়ার চেষ্টা করলেও তাদের মুখে ভয়ের রেখা স্পষ্ট দেখা যায়। উদ্ধার অভিযান চলাকালে হেলিকপ্টার থেকে পড়ে একজন ব্যক্তিও প্রাণ হারান।
রোপওয়ে দুর্ঘটনার পর ঝাড়খণ্ড সরকারও তৎপর হয়েছে। সরকারের পর্যটন মন্ত্রী বলছেন, রোপওয়ে পরিচালনাকারী সংস্থাকে ব্ল্যাক লিস্টেড করবে।
পাশাপাশি এই দুর্ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করে দোষীদের কঠোরতম শাস্তি দেওয়া হবে। এ পর্যন্ত ৩২ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। এই দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এ ছাড়া দেওঘর জেলা প্রশাসক মঞ্জুনাথ ভজনত্রী সোমবার জানিয়েছেন, আগামীকাল সকাল থেকে প্রায় ১৫ জনকে উদ্ধার করা হবে।
দেওঘরের জেলা প্রশাসক মঞ্জুনাথ ভজনত্রী সোমবার জানিয়েছেন যে মোহনপুর ত্রিকূট পর্বতে রোপওয়ে যাত্রার সময় আটকে পড়া লোকদের ভারতীয় বিমান বাহিনী, ভারতীয় সেনাবাহিনী, এনডিআরএফ, আইটিবিপি এবং স্থানীয় প্রশাসনের দল উদ্ধার করছে।
No comments:
Post a Comment