বিশ্বজুড়ে অপরিশোধিত তেলের দাম বৃদ্ধি এবং আবহাওয়ার অবনতির প্রভাব জনগণের পকেটে নীচে নামতে শুরু করেছে।
নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম আকাশ ছোঁয়া শুরু হয়েছে। তা আমদানিকৃত পণ্যই হোক বা অভ্যন্তরীণভাবে উৎপাদিত। খাবারের ক্ষেত্রেও তেমনই কিছু ঘটছে।
লেবু, লঙ্কা থেকে শুরু করে সবুজ শাকসবজি সবারই আকাশ ছোঁয়া দাম হয়েছে। আপেল, ডালিমের মতো ফলের চেয়েও দামি হয়ে গেছে লেবু।
বর্তমানে লেবুর দাম ৪০০ টাকায় পৌঁছেছে। এ ছাড়া অনেক সবজি নেওয়ার পর বিনামূল্যে পাওয়া লঙ্কা -ধনের দামও প্রতি কেজি ১০০-২০০ টাকার মধ্যে পৌঁছেছে।
গত এক মাসের কথা, যেখানে মার্চের শুরুতে লেবু প্রতি কেজি ৭০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছিল, সেখানে এখন অনেক জায়গায় এই দাম ৪০০ টাকায় পৌঁছেছে।
বর্তমানে লখনউয়ের বাজারে সবচেয়ে সস্তা লেবু পাওয়া যাচ্ছে ২৫০ টাকা কেজি দরে। অন্যদিকে, দিল্লি ও জয়পুরে লেবুর দাম সবচেয়ে বেশি, যেখানে সবজির বাজারে তা বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকায়।
আবহাওয়ার কারণে লঙ্কার দামও বেড়েছে। মার্চের মাঝামাঝি পর্যন্ত লঙ্কার দাম প্রতি কেজি ৪০ টাকা থাকলেও এপ্রিলের শুরুতে দোকানে প্রতি কেজি ১২০ টাকা হয়েছে।
ধনে দামও উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। মার্চ মাসে প্রতি কেজি ধনে বিক্রি হচ্ছিল প্রায় ৪০ টাকা। এখন তা প্রতি কেজি ১৫০-২০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। অর্থাৎ চার থেকে পাঁচ গুণ বেড়েছে।
দাম বাড়ার কারণ কী?
দিল্লির সবজির বাজারে গত ৫ দিনে লেবুর দাম কেজি প্রতি ৮০ টাকা বেড়েছে। লেবু ব্যবসায়ীদের মতে, লেবুর দাম বাড়ার কারণ গত বছর গুজরাটে আঘাত হানা ঝড়।
ঝড়ের কারণে লেবুর ফুল ঝরে গেছে। এছাড়াও লেবুর ঝোপেরও ক্ষতি হয়েছে। এ ছাড়া আরও দুটি রাজ্য তেলেঙ্গানা-অন্ধ্রপ্রদেশও লেবু উৎপাদনে বড় জায়গা করে নিয়েছে।
সেখানেও ঘূর্ণিঝড়ের কারণে বৃষ্টির প্রভাবে লেবুর ফসল নষ্ট হয়ে যায়। লেবু গাছের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
এ ছাড়া দুই বছর ধরে করোনার সময় লেবুর সঠিক দাম না পাওয়ায় এবার লেবু উৎপাদনে বিশেষ আগ্রহ দেখাননি চাষিরা। ফলে এবার বাজারে লেবুর আগমন খুবই কম।
দেশে পেট্রোল ও ডিজেলের ক্রমাগত ক্রমবর্ধমান দাম সবজির পরিবহন খরচকেও প্রভাবিত করেছে। বর্তমানে পরিবহন খরচ প্রায় ১৫ শতাংশ বৃদ্ধির কথা রয়েছে। এর প্রভাব শুধু লেবুর দামেই দেখা যাচ্ছে না, আরও অনেক মৌসুমি সবজির দামও বাড়ছে।
No comments:
Post a Comment