রাজ্যে প্রতিনিয়ত ধর্ষণের ঘটনা ঘটতেই তৎপর পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ। নদীয়া জেলার হাঁসখালি এলাকায় এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে এদিন ভোরে আরেক সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ওই কর্মকর্তা জানান, পুলিশ এর আগে এই মামলায় তৃণমূল নেতার অভিযুক্ত ছেলেকেও গ্রেপ্তার করেছে। যে আরও দু'জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেওয়া হয়েছে, অন্যদিকে একজন মহিলাকে ধর্ষণের ঘটনায় কাকদ্বীপে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গত ৪ এপ্রিল হাঁসখালী মামলার প্রধান আসামির বাড়িতে জন্মদিনের অনুষ্ঠানে নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। নিহতের বাবা-মায়ের মতে, ওই রাতেই মেয়েটি মারা যায়। গত ৯ এপ্রিল ওই কিশোরীর বাবা-মা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
তৃণমূল কংগ্রেস (টিএমসি) নেতার ছেলে, হাঁসখালি মামলার প্রধান অভিযুক্ত, অভিযোগ দায়ের করার পরেই গ্রেফতার করা হয়েছে।
অন্যদিকে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপের নামখানায় এক মহিলাকে ধর্ষণ ও পুড়িয়ে মারার ঘটনায় দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ বাদী হয়ে হত্যাসহ একাধিক ধারায় মামলা করেছে।
নির্যাতিতার সঙ্গে কথা বলবেন কাকদ্বীপ মহকুমা আধিকারিক। বিজেপি রাজ্য মহিলা সভানেত্রী তনুজা চক্রবর্তীর নেতৃত্বে বিজেপির একটি প্রতিনিধি দল হাসপাতালে পরিদর্শন করেছে।
সিপিএম নেতা কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে সিপিএমের মহিলা শাখার সদস্যরাও এদিন হাসপাতালে যান এবং নির্যাতিতার সঙ্গে দেখা করেন।
এদিকে কলকাতা হাইকোর্ট চারটি ধর্ষণ মামলার তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছে আইপিএম দময়ন্তী সেনকে। তার তত্ত্বাবধানে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
No comments:
Post a Comment