২০১৯ সালের আগস্টে জম্মু ও কাশ্মীর পুনর্গঠন বিল নিয়ে আলোচনার সময় লোকসভায় শাহ এবং কংগ্রেস সংসদীয় দলের নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরীর মধ্যে একটি উত্তপ্ত তর্ক হয়েছিল। চৌধুরীর বক্তব্যে ক্ষোভ প্রকাশ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন যে তিনি কাশ্মীরের জন্য জীবন বিসর্জন দেবেন। সোমবার বিরোধী দলগুলো সে কথা উল্লেখ করে যার জবাব দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
এর আগে ফৌজদারি কার্যবিধি (আইডেন্টিফিকেশন) বিল ২০২২ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে শাহ বলেছিলেন যে এই বিলটি বন্দীদের সনাক্তকরণ আইন ১৯২০ এর প্রতিস্থাপন করবে। বিলটির উপযোগিতা ব্যাখ্যা করে শাহ বলেন যে সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে অপরাধীদের দোষী সাব্যস্ত করতে এবং তদন্তকারী সংস্থার ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য আদালতের প্রয়োজনীয় বিজ্ঞান ও প্রমাণ আনার জন্য নতুন বিলটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
তিনি আরও বলেন যে ১৯৮০ সালে আইন কমিশন ভারত সরকারকে এমন একটি আইন করার জন্য একটি পরামর্শও পাঠিয়েছিল, যা দীর্ঘকাল ধরে আলোচনা হয়েছিল। কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার পর এনডিএ সরকার এই আইন নিয়ে বিভিন্ন রাজ্য সরকার এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য দলের সঙ্গে আলোচনা করেছে। তিনি বলেন বিশ্বের অন্যান্য দেশে প্রযোজ্য সব দিক ও আইন অধ্যয়ন করেই এই আইন চালু করা হয়েছে।
শাহ যোগ করে বলেন যে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্র টেনি যখন লোকসভায় এই বিলটি উত্থাপন করেছিলেন তখন বিরোধী দলগুলি ব্যক্তি স্বাধীনতা, মানবাধিকার এবং সুপ্রিম কোর্টের বেশ কয়েকটি রায়ের উল্লেখ করে এর বিরোধিতা করেছিল। তিনি বলেন কিছু সংসদ সদস্যের উদ্বেগ যৌক্তিক তবে তাদের উদ্বেগও এই বিলে সমাধান করা হয়েছে।
এছাড়াও তিনি যোগ করেন যে কেন্দ্রীয় সরকার কারাগারের বন্দীদের জন্য একটি মডেল আইনও প্রবর্তন করছে যা বিভিন্ন রাজ্য সরকারের কাছে পাঠানো হবে এবং বিল সম্পর্কিত বিভিন্ন উদ্বেগ দূর করতে সহায়তা করবে। শাহ বিলের বিরোধিতাকারী সংসদ সদস্যদের বলেছিলেন যে এটিকে সামগ্রিকভাবে দেখার প্রয়োজন কারণ পরিবর্তন এখন সময়ের প্রয়োজন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিলটিকে ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখার জন্য সকল সংসদ সদস্যদের আহ্বান জানিয়ে বলেন যে এটি তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে সাহায্য করবে। দোষী সাব্যস্ত হওয়ার হার বৃদ্ধি করবে এবং একই সঙ্গে অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা জোরদার করবে। এর আগে ২৮শে মার্চ শাহের পক্ষে অজয় মিশ্র টেনি লোকসভায় ফৌজদারি কার্যবিধি (শনাক্তকরণ) বিল ২০২২ পেশ করেছিলেন।
No comments:
Post a Comment