আমরা দুবেলা রুটির জন্য দিনরাত পরিশ্রম করি। কিন্তু এখন এই রুটি মাত্র কয়েক বছরের মধ্যে শেষ হতে চলেছে এবং পৃথিবীতে এমন খাদ্য সংকট দেখা দিতে চলেছে যে একজন মানুষের জন্য ১ বেলা খাবারও পাওয়া কঠিন হবে, ২ বেলাতো ছেড়ে দিন। কোটি টাকা পেলেও মানুষ হয়তো খাবার কিনতে পারবেনা।
শস্য ফুরিয়ে যাবে:
সামাজিক ও অর্থনৈতিক তথ্য-উপাত্ত পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা দ্য ওয়ার্ল্ড কাউন্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গোটা বিশ্বে এমন খাদ্য সংকট দেখা দিতে চলেছে যে ২০৫০ সাল নাগাদ গোটা বিশ্বে খাদ্যশস্য শেষ হয়ে যাবে।
তার প্রতিবেদন প্রকাশের পাশাপাশি, দ্য ওয়ার্ল্ড কাউন্ট তার ওয়েবসাইটে শস্যের শেষের কাউন্টডাউনও রেখেছে। এই কাউন্টডাউন অনুসারে, পৃথিবী থেকে শস্য শেষ হতে এখন ২৭ বছর বাকি আছে।
খাদ্যের চাহিদা ৭০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়বে:
দ্য ওয়ার্ল্ড কাউন্ট তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ২০৫০ সাল নাগাদ বিশ্বের জনসংখ্যা এক হাজার কোটি ছাড়িয়ে যাবে। ২০১৭ সালের তুলনায় ২০৫০ সালে খাদ্যের চাহিদা ৭০ শতাংশ বেশি বাড়বে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পৃথিবী প্রতি বছর ৭৫০০ মিলিয়ন টন উর্বর মাটি হারাচ্ছে। সেই সঙ্গে খাদ্যের চাহিদা এতটাই বেড়েছে যে আগামী ৪০ বছরে পৃথিবীর মানুষের খাদ্য চাহিদা মেটাতে এত বেশি শস্য উৎপাদন করতে হবে যা গত ৮ হাজার বছরে হয়নি।
শস্য ফুরিয়ে গেলে :
ওয়ার্ল্ড কাউন্ট তাদের প্রতিবেদনে ভবিষ্যদ্বাণী করেছে যে, ২০৩০ সাল নাগাদ চালের দাম বর্তমানের তুলনায় ১৩০ শতাংশ এবং ভুট্টার দাম ১৮০ শতাংশ বাড়বে এবং বিশ্ব আজ যে প্রান্তে দাঁড়িয়েছে, সেখানে একটি ঘাটতি হতে পারে।
দ্য ওয়ার্ল্ড কাউন্ট তাদের প্রতিবেদনে বলেছে, বর্তমান সময়ে মানুষ যেভাবে নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য পৃথিবীকে ব্যবহার করছে, তাতে ২০৩০ সালের পর প্রতিটি মানুষের খাদ্য ও পানীয়ের চাহিদা পূরণ করতে হলে দুটি পৃথিবীর প্রয়োজন হবে।
একদিকে যেমন পৃথিবীতে খাদ্যশস্যের সংকট ঘনীভূত হচ্ছে, অন্যদিকে আমরা এবং আপনারা খাদ্যের অপচয় করতে পিছপা হচ্ছি না।
বলা হয় 'থালায় এমন পরিমাণ খাবার রাখুন যা নালায় না যায়। এমতাবস্থায় প্লেটে যতটুকু খাবার দরকার ততটুকুই পরিবেশন করুন।
No comments:
Post a Comment