চীন সম্পর্কিত একটি ভয়ঙ্কর খবর আজ বিশ্বজুড়ে উঠে এসেছে। 'থিস কটিশ সান'-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনা সরকার জীবিত মানুষের ওপর নৃশংসতা চালাচ্ছে, যা জানলে আপনার লোম দাঁড়িয়ে যাবে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনে মানুষের শরীর থেকে কিডনি নিয়ে তাকে মেরে ফেলছে।
চীনে যেসব বন্দীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। মৃত্যুর আগেও তার শরীর থেকে কিডনি ও হার্ট বের করে নেওয়া হচ্ছে।
মানবতাকে লজ্জিত করা এই খবর আবারও চীনকে বিশ্বের টার্গেটে নিয়ে এসেছে। উল্লেখযোগ্যভাবে, ১৯৮৪ সাল থেকে, চীনে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বন্দীদের দেহ থেকে অঙ্গ বের করা হয়। এখানে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বন্দীদের দেহ থেকে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ অপসারণ করা বৈধ।
তবে জীবিত বন্দীদের দেহ থেকে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সরানোর খবর মানবতাকে নাড়া দিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলেছে, মৃত্যুর আগে কিছু বন্দীর শরীর থেকে হৃদপিণ্ড ও কিডনি বের করা হয়েছে।
চীনে দাতাদের সংখ্যা খুব কম, যেখানে অঙ্গ প্রতিস্থাপনের জন্য অপেক্ষার সময় সবচেয়ে কম। এ কারণে প্রতিবেদনের দাবি জোরালো হচ্ছে।
অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ম্যাথিউ রবার্টসন এ নিয়ে একটি গবেষণা করেছেন। এই গবেষণা অনুসারে, চীনের কারাগারে বন্দী অনেক বন্দীর জীবিত অবস্থায় অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল এবং তাদের দেহ থেকে অঙ্গগুলি সরানো হয়েছিল।
আমেরিকান জার্নাল অফ ট্রান্সপ্লান্টেশনে এই প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, বন্দীদের ব্রেন ডেড বলে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বের করা হয়।
উল্লেখ্য, ১৯৮৪ সাল থেকে চীন এমন একটি আইন পাশ করেছে, যাতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বন্দীদের শরীর থেকে কিডনি, হার্ট এবং লিভার অপসারণ করা যায়, আর এদের মৃতদেহ কেউ নিতে বা দেখতে আসে না।
No comments:
Post a Comment