এক সন্তানের প্রতি পক্ষপাতিত্বের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
১. সবসময় অভিযোগ
যদি আপনার সন্তান সবসময় অভিযোগ করে যে আপনি তাকে ভালবাসেন না, তাহলে আপনাকে তার কথার প্রতি মনোযোগ দিতে হবে। এটি উপেক্ষা করবেন না বা এমনকি সন্তানের উপর রাগ করবেন না। এটি শিশুর মনে একটি ভুল অনুভূতি তৈরি করে যে আপনি কেবল একটি ভাই বা একটি ছোট শিশুকে ভালোবাসেন।
২. শিক্ষার উপর প্রভাব
শিশুর মনে যখন হীনমন্যতা আসে তখন শিশু ভেতর থেকে অসহায় হয়ে পড়ে এবং আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলে। এটি সরাসরি তাদের পড়াশোনার উপর প্রভাব ফেলে। এমন পরিস্থিতিতে শিশুর কর্মক্ষমতা ক্রমাগত খারাপ হতে থাকে। এছাড়াও, লেখাপড়া ও লেখাপড়া করতে তার ভালো লাগে না। অনেক সময় অভিভাবকরা এটি বুঝতে পারেন না এবং তারা মনে করেন যে শিশুটি অজুহাত তৈরি করছে বা পড়াশোনা থেকে পালিয়ে যাচ্ছে।
৩. খারাপ বন্ধন
একবার বাচ্চার মনে এই জিনিসটা ঢুকে যায় যে আপনি তাকে ভালোবাসেন না বা আপনি তার প্রতি কম মনোযোগ দেন, তখন শিশুটি আপনার থেকে দূরে সরে যেতে শুরু করে। এই কারণে, আপনার বন্ধনও খারাপ হতে শুরু করে এবং আপনি যদি এটি সময়মতো ঠিক না করেন তবে বড় ক্ষতি হতে পারে। আজকের পরিবেশে আপনার সন্তান বিপথে যেতে পারে। আপনাকে তাদের ভালবাসার সাথে পরিচালনা করতে হবে।
৪. শিশুদের মধ্যে বিষণ্নতা
যখন একজন অভিভাবক একটি সন্তানের প্রতি বৈষম্য করেন, তখন অন্য সন্তানের মনে অনেক অস্বস্তিকর অনুভূতি জাগতে শুরু করে। সে নিজেকে তার পরিবার থেকে দূরে বোধ করতে শুরু করে। একই সময়ে, তারা হতাশা দ্বারা পরিবেষ্টিত হয় এবং কখনও কখনও এই পরিস্থিতি এত খারাপ হয়ে যায় যে তারা কারও সাথে কথা বলা বন্ধ করে দেয়। এমনকি তারা আত্মহত্যার চেষ্টাও করে। তাই শিশুদের কোমল মনের প্রতি সব সময় খেয়াল রাখতে হবে।
৫. বিরক্তি
শিশুদের মধ্যে বৈষম্য একটি শিশুকে আরও খিটখিটে এবং এমনকি অভদ্র করে তুলতে পারে। সে আপনার কথা শোনে না এবং নিজের মনকে অনুসরণ করে। ছোটখাটো বিষয়ে খুব তাড়াতাড়ি রেগে যায়। পরিবার থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করলে সন্তানের প্রতি মনোযোগ দিতে হবে।
কিভাবে একটি শিশুর ভয় কাটিয়ে উঠতে
১. আপনার সন্তানদের সমান ভালবাসা দিন যাতে তারা বৈষম্য বোধ না করে।
২. বাচ্চাদের সাথে বেড়াতে যান এবং আপনার বাচ্চাদের উভয়কে একই জিনিস দেওয়ার চেষ্টা করুন।
৩. যদি একটি শিশু খারাপ ব্যবহার করে, তাহলে তাকে ভালবাসার সাথে ব্যাখ্যা করুন এবং তাকে জানান যে সে তার কাছে কতটা বিশেষ।
৪. শিশুর কথা এবং আচরণের প্রতি মনোযোগ দিতে ভুলবেন না। শিশুর কর্মকে সবসময় উদ্ধত আখ্যা দিয়ে এড়িয়ে যাবেন না। তাদের মন বোঝার চেষ্টা করুন।
৫. যদি আপনার সন্তানদের কেউ বিষণ্ণ হয় বা আপনার সম্পর্কে অভিযোগ করে তবে তাদের সাথে কথা বলুন। তাকে বোঝানোর চেষ্টা করুন।
No comments:
Post a Comment