১- হাত ধুয়ে শিশুর কাছে যান
হাতে জীবাণু ও ব্যাকটেরিয়া থাকা স্বাভাবিক।এমন পরিস্থিতিতে শিশু যখন জীবাণু ও ব্যাকটেরিয়ার কবলে পড়ে, তখন তাদের ফ্লু বা অন্য সংক্রমণের সমস্যায় পড়তে হয়।অনুগ্রহ করে বলুন যে যখনই মায়েরা তাদের সন্তানকে কোলে তুলে নেবেন, তার আগে অন্তত ২০ সেকেন্ড সাবান দিয়ে হাত পরিষ্কার করুন।এতে করে শুধু জীবাণুই দূর করা যায় না, শিশু ব্যাকটেরিয়া থেকেও বাঁচতে পারে।
২- নখ ছোট করুন
শিশুর লম্বা নখ থাকলে শিশুর নখে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ হতে পারে।এ ছাড়া শিশুরা লম্বা নখ দিয়ে নিজেদেরও ক্ষতি করতে পারে।এমতাবস্থায় শিশুর নখের বৃদ্ধি বন্ধ করা এবং সময়ে সময়ে নখ পরিষ্কার করা বাবা-মায়ের দায়িত্ব।এতে করে ব্যাকটেরিয়াও সংক্রমণ এড়াতে পারবে।এ ছাড়া বাবা-মায়েরা যখনই তাদের সন্তানদের নখ কাটবেন, নখ কাটার সময় কিউটিকল যেন না কাটে সেদিকে খেয়াল রাখুন। অন্যথায়, এই কারণে ব্যক্তিকে অনেক যন্ত্রণার সম্মুখীন হতে হতে পারে।
৩- সময়ে সময়ে ডায়াপার পরিবর্তন করুন
সময়ে সময়ে সন্তানের ডায়াপার পরিবর্তন করা পিতামাতার দায়িত্ব।এর মাধ্যমে শিশুরা শুধু সুস্থই থাকবে না, তারা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নও থাকতে পারবে।এ ছাড়া শিশুদের কাপড় নিয়মিত ধুয়ে নিন। এটি শিশুকে ব্যাকটেরিয়া এবং জীবাণু উভয় থেকে দূরে রাখবে।
৪- প্রতিদিন শিশুদের স্নান করান
শিশুকে স্নান করালে, এমন অবস্থায় তারা না কোনো জীবাণুর কবলে আসতে পারে না কোনো ব্যাকটেরিয়ার। খেলা বা খাওয়ার সময় প্রায়ই শিশুরা নিজেদের নোংরা করে ফেলে।এইরকম পরিস্থিতিতে, এই জীবাণু দূর করার জন্য স্নান একটি ভাল বিকল্প হতে পারে। এ ছাড়া শিশুর বয়স ৩ থেকে ৪ মাস হলে শিশুর গামছাও পরিবর্তন করুন।
৫- মালামাল পরিষ্কার করা প্রয়োজন
সুন্দর বাচ্চাদের তাদের জিনিসপত্র নিয়ে খেলতে দেখা যায়।কিন্তু ব্যাকটেরিয়া এবং জীবাণু যদি একই জিনিসগুলিতে লেগে থাকে?এমন পরিস্থিতিতে শিশুর স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।পিতামাতার দায়িত্ব তাদের সন্তানের জিনিসপত্র পরিষ্কার ও গরম পানিতে ধুয়ে রাখা।এ ছাড়া আপনার শিশু যদি মেঝেতে খেলতে থাকে, তাহলে মাটি ভালোভাবে পরিষ্কার করুন।
No comments:
Post a Comment