আপনি কি জানেন প্রতিদিন কত কাপ কফি পান করা উচিৎ? কেউ কেউ প্রতিদিন বেশি কফি পান করেন। অতিরিক্ত কফি পান কিছু সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। সেজন্য প্রত্যেকেরই নির্দিষ্ট পরিমাণ কফি পান করা উচিৎ।
সুস্বাদু এবং স্বাস্থ্যকর কফি পান শরীরে শক্তি যোগায়। সাম্প্রতিক গবেষণা অনুসারে, কফি কিছু গুরুতর রোগে সাহায্য করতে পারে যেমন: টাইপ ২ ডায়াবেটিস, ফ্যাটি লিভার রোগ এবং কিছু ক্যান্সার।
গবেষণায় আরও দেখা গেছে, একজন ব্যক্তি যদি পরিমিত পরিমাণে কফি পান করেন, তাহলে তার হৃদরোগের ঝুঁকি কমে যায়। কিন্তু অত্যধিক কফি শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে, তবে তা যদি সঠিক পরিমাণে পান করা হয় তবে শরীরের অনেক উপকার হতে পারে।
ডায়েটিশিয়ান হেলেন বন্ডের মতে, কফিতে ক্যাফেস্টল এবং ক্যাফেওল নামক প্রাকৃতিক তেল থাকে, যা কোলেস্টেরলের উৎপাদন কমাতে পারে।
জামা ইন্টারনাল মেডিসিনে প্রকাশিত গবেষণা অনুসারে, প্রতিদিন কফি পান ৩% পর্যন্ত হার্টের সমস্যা কমাতে পারে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক কত কাপ কফি পানের উপকারিতা এবং কতটা কফি শরীরের জন্য ভালো?
১ কাপ কফি:
১ কাপ কফিতে প্রায় ১০০ মিলিগ্রাম ক্যাফেইন থাকে। প্রতিদিন ১ কাপ কফি পান করা সতর্কতা বাড়াতে পারে এবং মলত্যাগে সহায়তা করতে পারে।
সাইকোফার্মাকোলজি জার্নালে প্রকাশিত ২০১২ সালের একটি গবেষণা অনুসারে, যারা ১ কাপ কফি পান করেন তারা কম ক্লান্ত এবং সতর্ক বোধ করেন।
২ কাপ কফি :
ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি অফ স্পোর্ট নিউট্রিশন ইউএস-এর মতে, যারা খেলাধুলা করেন যারা দিনে ২ কাপ কফি পান করেন তাদের স্ট্যামিনা এবং গতি বৃদ্ধি পায়।
৩ কাপ কফি:
ইউরোপিয়ান জার্নাল অফ প্রিভেনটিভ কার্ডিওলজিতে প্রকাশিত একটি সমীক্ষা অনুসারে, একজন ব্যক্তি যদি দিনে ৩ কাপ বা তার বেশি কফি পান করেন তবে স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনা ২১ শতাংশ কমে যায়।
৪ কাপ কফি :
ইউনিভার্সিটি অফ সাউদাম্পটন এবং এডিনবার্গের গবেষণা অনুসারে, দিনে ৩-৪ কাপ কফি পান করলে লিভার ক্যান্সারের ঝুঁকি ২১ শতাংশ কমে যায়।
৫ কাপ কফি :
সুইডেনের ক্যারোলিনস্কা ইনস্টিটিউটের গবেষণা অনুসারে, যারা দিনে ৫ কাপ কফি পান করেন তাদের টাইপ ২ ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি ২৯ শতাংশ কম থাকে। ইনসুলিন তৈরিকারী কোষকে ধ্বংস করতে পারে।
৬কাপ কফি :
বোস্টন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা অনুসারে, ৬ কাপ কফি পান করলে গাউটের ঝুঁকি কম হয়।
এগুলো বেশি কফি পানের ক্ষতিকর দিক:
ওয়েবএমডি অনুসারে, ক্যাফিনযুক্ত কফি অনিদ্রা, স্নায়বিকতা, অস্থিরতা, পেটে অস্বস্তি, বমি বমি ভাব, বমি, হার্টের কারণ হতে পারে হৃদস্পন্দন বেড়ে যাওয়া, শ্বাস-প্রশ্বাসের হার বেড়ে যাওয়া এবং অনিদ্রার মতো নানা সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
এ ছাড়া একটানা কফি পান করলে মাথাব্যথা, অস্থিরতা, কানে বাজতে পারে, অনিয়মিত হৃদস্পন্দন, মাথাব্যথা, বুকে ব্যথা হতে পারে।
No comments:
Post a Comment