নদীয়া জেলার হাঁসখালি ধর্ষণ মামলায় নাবালিকাকে ধর্ষণ এবং মৃত্যুর পরে মৃতদেহ দাহ করার ঘটনায় কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশের পর এদিন সিবিআই তদন্ত শুরু করছে।
সিবিআই এই মামলায় POCSO আইন, ৩০২ ধারা এবং ভারতীয় দণ্ড সহ অন্যান্য ক্ষেত্রে এফআইআর নথিভুক্ত করেছে। সেই সঙ্গে কলকাতা থেকে সিবিআই অফিসার ও কলকাতা পুলিশের একটি দল হাঁসখালি গ্রামে পৌঁছে, পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।
এদিকে, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং রাম নবমীর সময় স্বেচ্ছাসেবকদের উপর হামলার বিষয়ে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর ও মুখ্য সচিবকে তলব করা হয়েছিল।
এদিন সন্ধ্যায় মুখ্যসচিব এবং ডিজি রাজভবনে পৌঁছে পুরো ঘটনা রাজ্যপালকে জানান। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে রাজ্যপাল ও মুখ্য সচিবের মধ্যে কথা হয়।
হাঁসখালিতে এক নাবালকের মৃত্যুর পর উত্তপ্ত রাজ্যের রাজনীতি। বিজেপি এই বিষয়ে পাঁচ সদস্যের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি গঠন করেছে, তারপর পুরো বিষয়টি তদন্ত করবে।
মহিলা কমিশন ও মানবাধিকার কমিশনের দল আক্রান্তের পরিবারের সঙ্গেও দেখা করবে।
অন্যদিকে হাঁসখালী গণধর্ষণ মামলায় পুলিশের হাতে এসেছে বড় প্রমাণ। তদন্তে থাকা পুলিশের দাবী, গণধর্ষণের প্রমাণ পাওয়া গেছে।
যে বাড়িতে জন্মদিনের পার্টি হয়েছে সেখান থেকে প্রমাণ পাওয়া গেছে। সেখান থেকে বীর্যের নমুনা পাওয়া গেছে। মেয়েটির এক আত্মীয়ের কাছ থেকে এক টুকরো কাপড় উদ্ধার করেছে পুলিশ। সেই কাপড় এখন পরীক্ষা করা হচ্ছে।
পুলিশ ইতিমধ্যে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে। তবে ঘটনাস্থল থেকে যা পাওয়া গেছে সবই ফরেনসিক ল্যাব পরীক্ষার জন্য পাঠাবে।
নিহতের পরিবার জানায়, গত সোমবার সে তার জন্মদিনের পার্টি থেকে ফিরে আসার কিছুক্ষণ পর তার শরীরের নিচের অংশ থেকে রক্তক্ষরণ হয় মেয়েটির জামা রক্তে ভিজে গেছে। রাতেই তার মৃত্যু হয়।
স্বজনরা জানায়, মাঝরাতে আশপাশের কিছু ছেলে এসে জোরপূর্বক মৃতদেহ তুলে আগুন ধরিয়ে দেয়। কিন্তু যেই বিছানায় শুয়ে ছিল সেই নাবালিকা পরিবারের এক স্বজন এর একটি অংশ কেটে ফেলেন। রক্তে মাখা চাদরের টুকরোটি পুলিশের হাতে তুলে দেন তিনি।
গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করছে পুলিশ। নিহত কিশোরীর স্বজনরা রক্তমাখা এক টুকরো কাপড়ও পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে বলে জানা গেছে। মৃত নাবালকের বাবা-মায়ের স্বাস্থ্যের অবনতি হয়েছে। তাঁদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
No comments:
Post a Comment