দই স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী, কিন্তু গ্রীষ্মের মৌসুমে অন্যান্য পদার্থের তুলনায় দই খাওয়া শরীরের জন্য খুবই উপকারী। দইয়ে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, প্রোটিন এবং ভিটামিন পাওয়া যায়, যা সুস্থ শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
ল্যাকটোজ, আয়রন এবং ফসফরাসও এতে পাওয়া যায়, যা একে সুপার ফুডের ক্যাটাগরিতে ফেলে। দইয়ের উপকারিতা সম্পর্কে আমরা ডায়েট বিশেষজ্ঞ ডাঃ রঞ্জনা সিং কী বলছেন জেনে নেওয়া যাক
খাদ্য বিশেষজ্ঞ ডাঃ রঞ্জনা সিংহের মতে, দই শরীরকে সতেজ রাখতেও সাহায্য করে। বিশেষ করে যাদের হৃদরোগ আছে, চিকিৎসকরা তাদের দই খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন, সাধারণত হজম প্রক্রিয়া ঠিক রাখতে দই খাওয়া হয়, তবে এর রয়েছে আরও অনেক অসাধারণ উপকারিতা। তাই রাতে দই খাওয়া এড়িয়ে চলতে হবে।
গরমে দই খাওয়ার আশ্চর্যজনক উপকারিতা:
দই গুপ্তঙ্গে সংক্রমণ প্রতিরোধ করে:
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে দইয়ে ল্যাকটোব্যাসিলাস ব্যাকটেরিয়া রয়েছে, যা মেয়েদের গুপ্তঙ্গে সংক্রমণ প্রতিরোধে খুব কার্যকর।
দই ওজন কমাতে সহায়ক:
দই ওজন কমানোর জন্য অন্যতম সেরা খাবার হিসাবে বিবেচনা করা হয়, কারণ এটি আমাদের শরীরে কর্টিসল এবং স্টেরয়েড হরমোনের বৃদ্ধি রোধ করে, যা কোথাও কোথাও স্থূলতার বর্ধিত ঝুঁকি নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
দই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়:
ডায়েট বিশেষজ্ঞ ডাঃ রঞ্জনা সিং বলেছেন যে দই একটি দুর্দান্ত প্রোবায়োটিক খাবার, যা আমাদের অন্ত্রের জন্য দুর্দান্ত হিসাবে বিবেচিত হয়। দই রোগ সৃষ্টিকারী জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা রাখে কারণ এর কিছু সক্রিয় বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা জীবাণুকে মেরে ফেলার পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে সুস্থ রাখতে কাজ করে।
দই দাঁত ও হাড় মজবুত করে:
দই শুধুমাত্র ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ নয়, এটি ফসফরাস সমৃদ্ধ, তাই এই দুটি পুষ্টি উপাদানই আমাদের হাড়ের পাশাপাশি দাঁতের জন্য খুবই উপকারী। শুধু তাই নয়, দই আর্থ্রাইটিস প্রতিরোধেও সাহায্য করে।
দই হার্টের জন্যও স্বাস্থ্যকর:
দই কোলেস্টেরল তৈরিতে বাধা দেয় এটি নিয়মিত ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করে উচ্চ কোলেস্টেরল স্তর এবং উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি হ্রাস করা যেতে পারে।
এ সময় দই খাবেন না:
রাতে দই খেলে শ্লেষ্মা, স্থূলতা, ত্বক সংক্রান্ত সমস্যা হতে পারে।
দই খাওয়ার সঠিক সময় কি?
সকালের জলখাবার ও রাতের খাবারের সঙ্গে সবসময় দই খাওয়া উচিৎ। দিনে দই খেলে শরীরের হজম প্রক্রিয়া ঠিক থাকে।
No comments:
Post a Comment