রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিবৃতি দেওয়ার জন্য ধারাবাহিকভাবে শিরোনামে রয়েছেন আর তাতেই টিএমসি রাজ্যপালকে বিজেপির মুখপাত্র বলে অভিযোগ করছে।
রাজ্যপাল মঙ্গলবারও টুইট করেছেন, হাঁসখালি ধর্ষণ মামলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিবৃতিকে একটি নিরবচ্ছিন্ন ও নিরপেক্ষ তদন্তে বাধা দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন।
রাজ্যপালের এই বক্তব্যে বিজেপি নেতারাও রাজ্যপালের বক্তব্যের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলতে শুরু করেছেন। বঙ্গ বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেছেন, "টুইট আর কাজ করবে না, হয় কিছু করো নয়তো চুপ থাকো। বাংলার মানুষ এখন গভর্নরের কাছ থেকে আর কোনও বক্তব্য শুনতে চায় না।"
বিজেপি মুখপাত্রের এই বক্তব্যকে রাজ্যের রাজনীতিতে পরিবর্তন হিসেবে দেখা হচ্ছে। এতদিন বিজেপি ছাড়াও রাজ্যপালকেও প্রায় বাংলার রাজনীতিতে বিরোধীদের ভূমিকায় দেখা গেলেও এখন বাংলার বিজেপি নেতাদের বক্তব্য পরিস্থিতির পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, রাজ্যপাল বারবার বলেছেন রাজ্যে আইনের শাসন নেই। আতঙ্কে রয়েছে এখানকার মানুষ। রাজ্য সরকার নিয়ম মানছে না। সংবিধান অনুযায়ী সরকার চলছে না। মানুষ এসব শুনে ক্লান্ত হয়ে পড়েছে, কিন্তু কিছুই করছে না। তিনি আরও বলেন, 'গভর্নর সংবিধানের রক্ষক, জনগণের সাংবিধানিক অধিকার রক্ষা করা তার দায়িত্ব। হয় তার কিছু ব্যবস্থা নেওয়া উচিত, নইলে চুপ থাকা উচিৎ।”
বাংলার বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী সোমবার হাঁসখালি ধর্ষণ মামলায় রাজ্যপালের সাথে দেখা করেন এবং রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, শমীক ভট্টাচার্য দলের মুখপাত্র। তিনি দলের নীতির বিরুদ্ধে কিছু বলতে পারেন না।
অন্যদিকে, টিএমসি নেতা ও মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেছেন যে শমীক ভট্টাচার্য মানসিক অবসাদে রয়েছেন। সে কারণেই তিনি এ কথা বলছেন।
No comments:
Post a Comment