পূর্ব বর্ধমান জেলার গলসিতে বীরভূম গণহত্যার ছায়া আবারও পড়লো চোখে। গলসিতে যুবক খুনের পর অভিযুক্তের বাড়িতে তোলপাড় সৃষ্টি করে গ্রামবাসী।
সোমবার রাতে স্থানীয় লোকজন মনোজ ঘোষ নামে এক যুবকের বাড়িতে লুটপাট করে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। বেশ কয়েকটি গাড়িতেও আগুন দেওয়া হয়।
অভিযুক্তের এক আত্মীয়ের বাড়িতেও হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ। পুলিশ সুপার নিজে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। পুরো এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
পুলিশ একটি ক্র্যাকডাউন অভিযান শুরু করেছে এবং আগুন দেওয়ার জন্য ৩১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অগ্নিকাণ্ডের পর পুরো সন্তোষপুর এলাকা জনশূন্য হয়ে পড়েছে।
খুনের ঘটনায় নিহত উৎপল ঘোষের মৃতদেহ ময়নাতদন্তের পর গ্রামে পৌঁছতেই এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়। খুনের সঙ্গে জড়িত মনোজ ঘোষ ও তার আত্মীয়দের বাড়িতে হামলা চালায় নিহতের পরিবার ও পাড়ের লোকজন।
হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার মনোজ ঘোষ ও তার আত্মীয়দের বাড়িতে উপস্থিত একটি গাড়ি, বাইক ও ট্রাক্টর পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এ ছাড়া তিন থেকে চারটি বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়। অচিরেই গোটা গ্রাম রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
রবিবার রাতে উৎপল ঘোষ নামে এক মাছ ব্যবসায়ীকে কোদাল দিয়ে পিটিয়ে নির্মমভাবে খুন করা হয়। এরপর স্থানীয় লোকজন পরিবারকে জানান, পথে রক্তাক্ত অবস্থায় উৎপল ঘোষের লাশ উদ্ধার করা হয়।
লাশের পাশে একটি কোদাল পাওয়া গেছে। সোমবার গভীর রাতে ময়নাতদন্তের পর পুরো এলাকা আগুনে পুড়ে যায়। সোমবারই অভিযোগের ভিত্তিতে প্রতিবেশী মনোজ ঘোষকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
রাতেই গ্রামে প্রচুর পুলিশ ও র্যাফ এনে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করা হয়।রাত জুড়ে গ্রামেই পুলিশি টহল চালানো হয়।
No comments:
Post a Comment