গোরক্ষনাথ মন্দির হামলার অভিযুক্ত মুর্তজা আব্বাসির জেরা যতই এগোচ্ছে, ততই নতুন নতুন তথ্য আসছে। এখন জানা গেছে, তিনি একবার নয় দুবার দুবাই গিয়েছিলেন।
এর পাশাপাশি তিনি কানাডা যাওয়ার প্রস্তুতিতে ছিলেন বলেও জানা গেছে। এই তথ্য সামনে আসার পর, মুর্তজা যে ট্রাভেল এজেন্টদের মাধ্যমে বিদেশে গিয়েছিল তাদের খোঁজ শুরু করেছে এটিএস ।
মুর্তজা আব্বাসির পুলিশ হেফাজতের রিমান্ড ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। মামলার তদন্তকারী ইউপিএটিএস তাকে জিজ্ঞাসাবাদে ব্যস্ত।
মুর্তজার কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কাজ করে তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করা হচ্ছে। এটিএস সূত্রে খবর, মুর্তজার ঘর থেকে একটি ডঙ্গলও উদ্ধার করা হয়েছে।
এটি আলমারিতে লুকিয়ে রাখা ছিল এবং এর মাধ্যমে মুর্তজা নেট সার্ফ করতেন। উল্লেখ্য, গোরক্ষনাথ মন্দিরে হামলার সময় মুর্তজা তার কাছে একটি ল্যাপটপ ও মোবাইলসহ অন্যান্য জিনিসপত্র রেখেছিলেন।
এটি দেখার পর জানা যায়, মুর্তজা সন্ত্রাসী সংগঠন আইএসের সমর্থক। এই ল্যাপটপে বেশ কিছু ফাইলে মৌলবাদী বক্তৃতার ভিডিওও পাওয়া গেছে।
অন্যদিকে, এই গোটা ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৫০ জনের বেশি জবানবন্দি নিয়েছে এটিএস। এটিএস মুর্তজার তিনটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট এবং ক্রেডিট কার্ডের বিবৃতিও দেখেছে, যা নিশ্চিত করেছে যে ইসলামিক মৌলবাদীদের আর্থিকভাবে সমর্থন করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, মুর্তজা ২০১৬ ও ২০১৮ সালে সৌদি আরবে গিয়েছিলেন, যেখানে এই দুই ট্রাভেল এজেন্ট মুর্তজাকে সাহায্য করেছিল। এর পাশাপাশি এই এজেন্টরা মুর্তজাকে শিগগিরই কানাডায় পাঠানোর ক্ষেত্রেও সাহায্য করছিল।
নেপালের মাধ্যমে এসব এজেন্টদের অ্যাকাউন্টে অর্থ প্রদান করা হয়েছে বলে জানা গেছে।এটিএস সূত্রের মতে, দিল্লিতে একজন এজেন্টকে খুঁজে পাওয়া গেছে, যিনি ক্রমাগত তার অবস্থান পরিবর্তন করছেন, অন্য এজেন্ট মহারাষ্ট্রে। এটিএস দুজনকেই ট্র্যাক করছে। শিগগিরই তাদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে দাবী করা হচ্ছে।
No comments:
Post a Comment