চাণক্য নীতি অনুসারে, বন্ধুত্বের ক্ষেত্রে কিছু জিনিস সবসময় মাথায় রাখা উচিৎ। একজন ভালো এবং সত্যিকারের বন্ধু জীবনে উপহারের চেয়ে কম নয়। বন্ধু যখন শত্রুতে পরিণত হয়, তার চেয়ে বড় কষ্ট আর কিছু নেই। তাই বন্ধুত্বের ক্ষেত্রে কিছু বিষয়ে বিশেষ খেয়াল রাখতে বলেছেন চাণক্য।
চাণক্য তার চাণক্য নীতিতে গুরুত্বপূর্ণ সব বিষয় তুলে ধরেছেন। বন্ধুত্ব সম্পর্কে চাণক্যও তার মতামত প্রকাশ করেছেন। চাণক্য নীতিতে, আচার্য চাণক্য এই শ্লোকের মাধ্যমে বন্ধুত্ব সম্পর্কে আলোকপাত করেছেন:
বিশ্বসেতকুমিত্রে চ মিত্র চাপি ন বিশ্বসেত।
সম্ভবতঃ চিতকুপিতম মিত্রম সর্বগুহ্যম্ প্রকায়েত।।
চাণক্য নীতির এই শ্লোকের অর্থ হল, কখনও খারাপ বন্ধুকে এমনকি একজন ভাল বন্ধুকেও বিশ্বাস করা উচিৎ নয়। কারণ এই ধরনের লোকেরা যদি আপনার উপর রাগ করে তবে আপনার সমস্ত মতভেদ খোলার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
আচার্য চাণক্য বিশ্বাস করতেন যে বন্ধুত্ব করার সময় খুব সাবধান হওয়া উচিৎ। সঠিক বন্ধু না থাকলে ক্ষতির আশঙ্কা বেড়ে যায়। তাই স্বার্থপর বন্ধুদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখুন। এর পাশাপাশি চাণক্য আরেকটি শ্লোকের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেছেন-
পরোক্ষে কার্যহন্তরম প্রত্যয়েতে প্রিয়বাদিনাম।
বর্জ্জয়েতদ্রীশম মিত্র বিষকুম্ভমপ্যোমুখম্।
চাণক্য নীতির এই শ্লোকের অর্থ হল এমন লোকদের এড়িয়ে চলুন যারা মুখের উপর মিষ্টি করে কথা বলে, কিন্তু পিছনে ষড়যন্ত্র করে এবং ক্ষতি করার পরিকল্পনা করে।
চাণক্য নীতি বলেছেন যে স্বার্থপর এবং লোভী ব্যক্তিদের থেকে সর্বদা সতর্ক থাকা উচিৎ, তারা কেবল নিজের সম্পর্কে চিন্তা করে।
স্বার্থপর ব্যক্তি নিজের স্বার্থের জন্য সবকিছু করতে প্রস্তুত। এ ধরনের মানুষ বেশি বিপজ্জনক। কেন এই লোকেরা নিজেদের স্বার্থে কাউকে ঠকাতে পারে।
No comments:
Post a Comment