বিধানসভা নির্বাচনে হারের পর মুলায়ম পরিবারের অভ্যন্তরীণ লড়াই আরও একবার তীব্র হয়েছে। কাকা ভাস্তার মধ্যে সম্পর্ক ক্রমাগত খারাপ হচ্ছে।
বিষয়টি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে কাকাকে এসপির বিধায়ক হিসেবে মানতে রাজি হননি ভাগ্নে। এদিকে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সঙ্গে দেখা করে বিজেপিতে যেতে চাইছেন কাকা।
মুখ্যমন্ত্রী যোগী-যাদবের এই বৈঠক নিয়ে নানা রকম জল্পনা চলছে। বিশ্বাস করা হয় কাকা শিবপাল চক্র ছেড়ে পদ্ম ধারণ করতে পারেন। এসপির প্রতীকে নির্বাচনে জেতার পরেও অখিলেশ তাদের সঙ্গে 'বহিরাগত' আচরণ করছেন।
বুধবার বিধানসভায় বিধায়ক হিসেবে শপথ নেওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন শিবপাল। প্রায় ২০ মিনিট ধরে চলে দুই নেতার মধ্যে আলোচনা। যদিও শিবপাল এই বৈঠককে সৌজন্য সাক্ষাৎ বলে বর্ণনা করেছেন, কিন্তু এর রাজনৈতিক অর্থ অন্য কিছু।
আজমগড় সংসদীয় কেন্দ্র থেকে এসপি সভাপতি অখিলেশ যাদবের পদত্যাগের পর, এখন উপনির্বাচন হতে চলেছে। এমতাবস্থায় শিবপাল যদি বিজেপিতে যান, তবে দল তাকে আজমগড় আসন থেকে প্রার্থী করতে পারে।
উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে আজমগড় আসনে রমাকান্ত যাদব যেতেন আর এখনও তিনি এসপি-তে রয়েছেন। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আজমগড় উপনির্বাচন আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিজেপি এর আগে এই আসন থেকে ভোজপুরি অভিনেতা দীনেশ লাল যাদব ওরফে নিরহুয়াকে প্রার্থী করেছিল, কিন্তু তিনি অখিলেশ যাদবকে হারাতে পারেননি। দলের জন্য তুরুপের তাস প্রমাণিত হতে পারেন শিবপাল।
শিবপাল বিজেপিতে যোগ দেওয়ায়, দল তার সমর্থনে যশবন্তনগর আসনে পদ্ম ফোটার সুযোগ পাবে। আসলে শিবপাল ছেলের রাজনৈতিক ভবিষ্যতের পথ খুঁজছেন। ছেলেকে টিকিট দেয়নি এসপি।
উত্তরপ্রদেশে আগামী কয়েক মাসের মধ্যে রাজ্যসভার আসন খালি হতে পারে। যাদবকে উচ্চকক্ষে পাঠিয়ে যাদবকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বানাতে পারে বিজেপি।
উত্তরপ্রদেশের রাজনীতিতে শিবপাল যাদবের নিজস্ব আকর্ষণ রয়েছে এবং যাদব সম্প্রদায়ের মধ্যে তার ভাল দখল রয়েছে। ইউপিতে, ৯ শতাংশ যাদব ভোটার রয়েছে এবং ওবিসি-র জনসংখ্যা সবচেয়ে বেশি, যাকে এসপি-র আসল ভোটার হিসাবে বিবেচনা করা হয়। এসপিকে হারাতে বেশী সময় লাগবেনা বিজেপির।
No comments:
Post a Comment