বীরভূম জেলার রামপুরহাটে বোমা হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি পুলিশকে রাজ্য জুড়ে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের নির্দেশ দিয়েছেন।
এদিকে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীতে বোমা বিস্ফোরণে একজনের মৃত্যু হয়েছে। আর টিএমসি বিধায়ক শ্যামল মণ্ডল একটি ভিডিও তে থানায় অবৈধ অস্ত্র-বোমা-গোলাবারুদ ইত্যাদি জমা দেওয়ার আবেদন করেছেন, আর এবিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী।
ভিডিওতে তিনি বলেন, "আমি হাতজোড় করছি, যাদের কাছে অবৈধ অস্ত্র আছে, থানায় জমা দিন।" তাঁর এই ভিডিওটি টুইটারে পোস্ট করাতেই বিরোধীদলীয় নেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন যে বিধায়কের এমন আবেদন এটাই প্রমান করে তিনি জানেন মানুষের কাছে অস্ত্র রয়েছে এবং যাদের কাছে অস্ত্র রয়েছে তারা তাঁর দলের সাথে যুক্ত।
শাসক দলের বিধায়কের এমন আবেদন থেকে কী উপসংহারে আসা যায়? এই অসামাজিক লোকদের পশ্চিমবঙ্গ সরকার এবং TMC এর আশীর্বাদ রয়েছে, এইভাবে তারা এই ধরনের মারাত্মক অস্ত্র পাচার ও মজুদ করতে দেয়।
শুভেন্দু অধিকারী টুইটারে লিখেছেন, “আমি শ্যামল মন্ডলের অসহায় আবেদন নিয়ে উদ্বিগ্ন। একদিন আগে বাসন্তীর হামিরুদ্দিন সরদার ও মফিজউদ্দিনের বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণ হয়। পরে একজনের মৃত্যু হয়। ক্ষমতাবিরোধী তরঙ্গের মোকাবিলায় টিএমসিকে তার সাহায্যের প্রয়োজন। তারা ভোটারদের মধ্যে ভীতি সৃষ্টি করে এবং তাদের ভোটদান থেকে বিরত থাকতে বাধ্য করে, যা পরবর্তীতে লুটপাট হবে।প্রশাসন ও সরকার নিরবচ্ছিন্নভাবে সহিংসতা রোধ করতে পারে না। এটি "কাটা টাকা" সংস্কৃতি দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়। প্রতিটি টিএমসি ঠগ তার ভাগ চায়।"
শুভেন্দু অধিকারী বাংলায় ৩৫৬ ধারা জারি করার দাবি জানান।
শুভেন্দু অধিকারী টুইট করেছেন, “যাদের কাছে অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ এবং বিস্ফোরক রয়েছে তাদের সংখ্যা অনেক বেশি। রাজ্য পুলিশ সম্পূর্ণ বিপর্যস্ত।
প্রশাসন জানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা তাদের সামর্থ্যের বাইরে। এ ধরনের বাধা মোকাবেলা করার ইচ্ছা ও নিষ্ঠা তাদের নেই। সমাজবিরোধী ও কট্টরপন্থী অপরাধীদের বিরুদ্ধে কোনও আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়না।
পশ্চিমবঙ্গে কোনও আইনশৃঙ্খলা নেই। চলছে জঙ্গলরাজ। ৩৫৬ ধারা জারী করার কথাও বলেন শুভেন্দু।
No comments:
Post a Comment