বীরভূম জেলার রামপুরহাটের বগাতুই গণহত্যার ঘটনায় এখন তৃণমূল নেতাদের মধ্যে বিরোধ সামনে আসছে। এই গণহত্যার মূল অভিযুক্ত আনারুল হুসেনকে নিয়ে টিএমসির বীরভূম জেলা নেতৃত্বে মতভেদ দেখা দিয়েছে।
এই বিষয়ে মুখোমুখি হয়েছেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল এবং রামপুরহাটের বিধায়ক ও ডেপুটি স্পিকার আশীষ ব্যানার্জি।
বীরভূম জেলার রামপুরহাটের উপকণ্ঠে বগাতুই গ্রামে ২১ মার্চ রাতে একটি ভয়ঙ্কর ঘটনায় ৬জন মহিলা এবং ২ শিশু দগ্ধ হয়। যদিও পরে আরও একজন সদস্য মারা যান।
২১শে মার্চ, স্থানীয় টিএমসি নেতা ভাদু শেখকে হত্যার পর অজ্ঞাত দুষ্কৃতীরা ১০টি বাড়ি পুড়িয়ে দেয়। ২৫ মার্চ, কলকাতা হাইকোর্ট সিবিআইকে বিষয়টি তদন্ত করার নির্দেশ দেয় এবং এসআইটি-কে তার তদন্ত বন্ধ করতে বলে।
এখনও পর্যন্ত, এই মামলায় স্থানীয় টিএমসি নেতা আনারুল হুসেন সহ ২২ জনেরও বেশি লোককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার এদিন অনুব্রত মণ্ডল জানান, তিনি প্রথমে আনারুল হুসেনকে রামপুরহাট ব্লক সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সেই সময় আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই বন্ড লিখে পঞ্চায়েত ভোট পর্যন্ত রাখার অনুরোধ করেছিলেন।
আশিস ব্যানার্জি নিজেই অনুব্রত মন্ডলকে অনুরোধ করেছিলেন আনারুল হুসেনকে তার পদে রাখার জন্য। অনুব্রত মণ্ডলের বক্তব্যের পর একটি চিঠি সামনে এসেছে, যাতে আনারুল হুসেনকে সরিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন আশিস ব্যানার্জি। এটি সুপারিশ করা হয়েছিল, কিন্তু এটি বিবেচনা করা হয়নি।
বগাতুইয়ে যাদের বাড়িতে আগুন লেগেছে তারা শুরু থেকেই দাবি করে আসছেন, আনারুলের নির্দেশেই আগুন লাগানো হয়েছে।
শুধু তাই নয়, আগাম বিপদের কথা জানিয়েও আনারুলের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ রয়েছে। পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে আনারুলকে গ্রেফতার করা হয়।
আনারুল হোসেনকে মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে চিহ্নিত করেছে পুলিশ। বাকি আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ করে আনারুলের নাম জানা যায়। বর্তমানে আনারুলকে থানা হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
No comments:
Post a Comment